নিজস্ব অর্থায়নে গৃহহীন দুই বিধবা মহিলাকে সরকারি জমিতে গৃহ নির্মাণ করে দিয়েছেন ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জিয়াউল হাসান মুকুল।
হরিপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জিয়াউল হাসান মুকুল উপজেলার হরিপুর সদর ইউনিয়নের দনগাঁও গ্রামের পুকুরপাড় নামক স্থানে সরকারি জমিতে ৩ লাখ ৮০ হাজার টাকা ব্যয়ে টিনসেড পাকা ঘর নির্মাণ করে চিরস্থায়ীভাবে বসবাস করার ব্যবস্থা করে দিলেন অসহায় দুই বিধবা মহিলাকে।
টিনসেড পাকা ঘর পাওয়া দুই বিধবা মহিলা হলো উপজেলার দনগাঁও গ্রামের মৃত জালাল উদ্দীনের স্ত্রী মুসলেমা (৫০) ও মৃত আমানউল্লাহর স্ত্রী সাহেদা বেগম (৬০)।
টিনসেড পাকা ঘর পেয়ে আবেগে আপ্লুত হয়ে বিধবা মুসলেমা (৫০) ও সাহেদা বেগম (৬০) বলেন, স্বামীর মৃত্যুর পর অসহায়ের মত মানুষের জমিতে নিরুপায় হয়ে অসহায়ভাবে বসবাস করছিলাম। স্থায়ীভাবে কোথাও বসবাস করার ঠিকানা না পেয়ে মানষিকভাবে ভেঙ্গে পড়ি। সেই মুহুর্তে আমাদের মানবদরদী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জিয়াউল হাসান মুকুল আমাদের এই আশ্রয়হীনের করুল কাহিনীর কথা শুনে তার নিজ অর্থায়নে আজ আমাদের দুইজনকে দুইটি করে সোয়ার ঘর, একটি রান্না রুম ও একটি বাথরুম বিশিষ্ট্য টিনসেডের পাঁকা ঘর নির্মাণ করে দিয়ে আমাদের মাথা গুজার ঠাই করে দিলেন। আল্লাহ যেন তার মত মানবদরদী মানুষকে সবসময় আমাদের মত গৃহহীন ও অসহায় ব্যক্তিদের জন্য প্রতিনিধি হিসেবে বারবার নির্বাচিত করেন।
উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জিয়াউল হাসান মুকুল বলেন, আমাকে আমার উপজেলার মানুষ তাদের মূল্যবান ভোট দিয়ে তাদের প্রতিনিধি আমাকে উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত করেছেন। আমার আমার উপজেলায় মানুষও কষ্টে ও গৃহহীন হয়ে আছে আমি তা জানতে পারলে তাদের কষ্ট লাঘব ও গৃহ নির্মাণ করে আশ্রয়ের ব্যবস্থা করা সর্বাত্ত্বক চেষ্টা করি। এরই ধারাবাহিকতায় সরকারি জমিতে ৩ লাখ ৮০ হাজার টাকা ব্যয়ে দুই বিধবা মহিরাকে টিনসেড পাকা ঘর নির্মাণ করে দিয়ে তাদের স্থায়ীভাবে আশ্রয়ের ব্যবস্থা করে দিয়েছি। তিনি আরো বলেন, আল্লাহর রহমতে আমি আমার উপজেলার সাধারণ মানুষের পাশে জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত থাকবো এবং তাদের দুঃখ দুদর্শা লাঘবে কাজ করে যাবো, ইনশাআল্লাহ।