কুড়িগ্রামের রাজারহাটে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এক সহকারি শিক্ষক অভিনব কায়দায় প্রতারণার শিকার হয়েছে। ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা না থাকায় প্রতারকে চিহিৃত করা সম্ভব হয়নি।
জানা যায়, বুধবার(১৪ জুলাই) ৩টায় সরিষাবাড়ি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এক সহকারি শিক্ষক(নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক) বেতন ও বোনাসের ৪৩হাজার ৫০০ টাকা সোনালী ব্যাংক রাজারহাট শাখা হতে টাকা উত্তোলন করার সময় ভদ্র লোক সেজে পাশেই দাঁড়িয়ে ছিল এক প্রতারক। ওই অপরিচিত প্রতারক সহকারি শিক্ষককে টাকাগুলো কাগজে মুড়িয়ে নিতে বলেন। সহকারি শিক্ষক বয়স্ক হওয়ায় সরল মনে ৪৩হাজার ৫০০টাকা ওই প্রতারকের হাতে দিলে প্রতারক টাকাগুলো কাগজে মুড়িয়ে সহকারি শিক্ষককে দিলে তিনি ওই অবস্থায় তার প্যান্টের পকেটে রেখে দেন। পরে ওই শিক্ষক এক ফার্মেসির দোকান থেকে ওষুধ কিনে টাকা দিতে গিয়ে কাগজে মোড়ানো বান্ডিল খুলে দেখেন সব সাদা কাগজ। তাৎক্ষণিক প্রতারককে খুঁজাখুঁজি করলে তাকে পাওয়া যায়নি
এ বিষয়ে সোনালী ব্যাংকের ম্যানেজার হাসান শহীদ মোঃ গোলাম সরওয়ার মন্ডল বলেন, সামনে ঈদুল আযহাকে কেন্দ্র করে অনেকেই ভদ্রতার মুখোশ পড়ে প্রতারণা করার জন্য ব্যাংকের আশে-পাশে থাকলে তাদেরকে চিহ্নিত করা খুবেই কষ্টকর। তাই ঘটনার পর থেকে আমরা সর্তক থাকবো এবং প্রতারককে ধরার জন্য চেষ্টা করবো পাশাপাশি সকলের সহযোগিতায় চাই। এ ছাড়া আর যেন কেউ প্রতারণার শিকার না হয় এজন্য সকলকে সচেতন থাকার জন্য অনুরোধ করছি।