রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার ড. হুমায়ুন কবীর বলেছেন, ভূমিহীন ও গৃহহীনদের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহার হিসেবে দেয়া আশ্রয়ণ প্রকল্পে প্রয়োজনীয় রাস্তা, ড্রেন নির্মাণ করা হবে, ব্যবস্থা করা হবে সুপেয় পানির। তিন বলেন, প্রতিটি প্রকল্পে পাবলিক হেল্থ ডিপার্টমেন্ট সাবমারসিবল টিউবওয়েল বসাবে, এলজিইডি পায়ে চলার রাস্তা তৈরী করে দিবে, ড্রেনেজ সিস্টেম হবে। ধীরে ধীরে সবকিছুই করা হবে। এখন বর্ষার সময়। যেকোন সময় যেকোন সমস্যা হতেই পারে। আমাদের প্রথম কাজ হবে কোথাও কোন ত্রুটি দেখা দিলে তা সংশোধন করা। শুধু সমালোচনা নয়, বরং সমস্যার কথা আমাদের জানালে আমরা দ্রুত তা সমাধান করে দিব। এজন্য তিনি সাংবাদিকদের সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেন।
শুক্রবার (১৬ জুলাই) দুপুরে তিনি নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলার এনায়েতপুর ইউনিয়নের রোদইল গ্রামে নির্মিত আশ্রয়ণ প্রকল্প প্রাঙ্গনে নওগাঁ জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে প্রকল্পে পূণর্বাসিত ৩৩টি ঘরের উপকারভোগিদের সাথে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দানকালে কথাগুলো বলেন।
নওগাঁ জেলা প্রশাসক মো: হারুন-অর-রশীদ এতে সভাপতিত্ব করেন। অনুষ্ঠানে নওগাঁ জেলা প্রশাসনের স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক উত্তম কুমার রায়, মহাদেবপুর উপজেলা চেয়ারম্যান আহসান হাবীব ভোদন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মিজানুর রহমান মিলন বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়া জেলা আওয়ামী লীগ নেতা অজিত মন্ডল, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান শ্রী অনুকূল চন্দ্র সাহা বুদু, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান রাবেয়া রহমান পলি, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ অরুন চন্দ্র রায় প্রমুখ এতে উপস্থিত ছিলেন। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, এনায়েতপুর ইউপি চেয়ারম্যান মেহেদী হাসান মিঞা ও উপকারভোগি মোতাহার হোসেন। অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আসমা খাতুন।
বিভাগীয় কমিশনার ও নওগাঁর জেলা প্রশাসক প্রকল্প এলাকায় একটি করে ফলদ বৃক্ষের চারা রোপণ করেন, উপকারভোগিদের মধ্যে ঈদ উপহার হিসেবে ১০ কেজি করে চাল, সেমাইসহ খাদ্যসামগ্রী ও দুটি করে গাছের চারা বিতরণ করেন, ঘরগুলো ঘুরে ঘুরে দেখেন, উপকারভোগিদের সাথে কথা বলে তাদের সমস্যার কথা শোনেন ও সেগুলো দ্রুত সমাধানের কথা বলেন।