ইন্দুরকানীতে স্কুল ছাত্রীকে যৌন হয়রানীর অভিযোগে ৫০হাজার টাকা জরিমানা ও ১শত জুতা পিটা অতঃপর থানায় মামলা। রোববার রাতে স্কুল ছাত্রীর পিতা বাদী হয়ে উপজেলার পাড়েরহাট ইউনিয়নের বাটাজোড় বায়তুল জান্নাত জামে মসজিদের ইমাম হাফিজুল ইসলামের বিরুদ্ধে ইন্দুরকানী থানায় একটি মামলা করেন। এলাকার সূত্রে জানা যায়,হাফিজুল ইসলাম কাউখালী উপজেলার সদর ইউনিয়নের নাংগুলি গ্রামের ইউনুস আলীর ছেলে। তিনি ইন্দুরকানী উপজেলার বাড়ৈখালী এসজিএস মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রীকে প্রাইভেট পড়তো ।
থানায় মামলা সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ওই স্কুল ছাত্রী তার খালা বাড়ি থেকে নিজ বাড়িতে ফেরার পথে অভিযুক্ত হাফিজুল ইসলাম তাকে কথা আছে বলে ফুসলিয়ে ও ভয়ভীতি দেখিয়ে ওই মসজিদ সংলগ্ন উত্তর পাশে তার থাকার কক্ষে নিয়ে যায় । সেখানে নিয়ে ওই স্কুল ছাত্রীর শরীরের বিভিন্ন স্পর্শ কাতর স্থানে হাত দেয়। এসময় ওই স্কুল ছাত্রী ডাক চিৎকার দিতে চাইলে গলা কেটে হত্যা করা হবে বলে হুমকী দেয়।পরে ওই কক্ষে তালা দিয়ে তাকে আটকে রাখে। ওই রাতে স্কুল ছাত্রীর স্বজনরা তাকে অনেক খোঁজা-খুজির পর ওই ইমামের ঘরে তালা বদ্ধ ও অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করেন।
ওই রাতে স্থানীয়রা হাফিজুল ইসলামকে আটক করে পাড়েরহাট ইউনিয়ন চেয়ারম্যান ও উপজেলা জাতীয় পার্টি (জেপি) এর সহ সভাপতি মো. গোলাম সরোয়ার বাবুলের কাছে নিয়ে যান। পরে ইউপি চেয়ারম্যান হাফিজুল ইসলামকে একশত জুতা পেটা ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেন।
নাম প্রকাশের অনিচ্ছুক জানান, সঠিক বিচার না করে চেয়ারম্যান অভিযুক্ত ব্যক্তিকে ছেরে দেওয়া হয়েছে । এখন অভিযুক্ত ব্যক্তিকে খুজিয়া পাওয়া যায় না ।
তবে ইউপি চেয়ারম্যান মো. গোলাম সরোয়ার বাবুল জানান, ওই রাতে স্থানীয়রা তাকে আটকে আমার কাছে নিয়ে আসেন। এ সময় বিক্ষুদ্ধ লোকরা অভিযুক্ত ব্যক্তির বিচার দাবী করেন। এসময় উপস্থিত জনতাকে সামলাতে ও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে ওই হুজুরের শারীরিক শাস্তি দেয়া সহ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা প্রদান করা হয়।
ইন্দুরকানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. হুমায়ুন কবির জানান, এ ঘটনায় ভুক্তভোগী স্কুল ছাত্রীর পিতা বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেন। অভিযুক্ত কে গ্রেফতারের জন্য অভিযান চলছে।