পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষে নারীসহ ১৭ জন আহত হয়েছেন। শুক্রবার (২৩জুলাই) উপজেলার দক্ষিণ বড় মাছুয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। জানা যায়, ওই গ্রামের মতলেব গং ও নাসির গংদের মধ্যে জমি সংক্রান্ত বিরোধে হামলায় ওই গ্রামের মতলেব শিকদার (৭৫), আবদুল হক শিকদার (৪৫), হাবিব শিকদার (৬০), খলিল শিকদার (৫৮), মজিবর শিকদার (৪৮), ইউনুস শিকদার (৫২), আলতাফ হোসেন সাইদ (৩১), রহিমা বেগম (৬০), বারেক (৩৩), নাজমা বেগম (৪০), দেলোয়ার হোসেন (২৯), সেকান্দর (৫৫), ছগির হোসেন (৩৫, সাফিয়া (৬১), কোহিনুর আক্তার (৩০), কহিনুর বেগম (৬০)আহত হন। আহতদের প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নেওয়ার পর অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য দু’পক্ষের ৪ জনকে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে (শেবাচিম) পাঠানো হয়।
প্রত্যক্ষদর্শী ও হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, উপজেলার দক্ষিণ বড়মাছুয়া গ্রামের মৃত দৌলত শিকদারের ছেলে মতলেব শিকদার গংদের সঙ্গে একই গ্রামের মৃত হামেজ হাওলাদারের ছেলে নাসির হাওলাদার গংদের ৯ একর ২৪ শতাংশ আবাদি জমি নিয়ে দীর্ঘ ৬০-৬৫ বছর ধরে বিরোধ চলছিল। বিরোধীয় ওই জমি নিয়ে ১৯৬১ সালে পিরোজপুর দেওয়ানী আদালতে মামলা হলে ওই মামলায় মতলেব শিকদার গংরা ডিক্রি প্রাপ্ত হন। প্রতিপক্ষ নাসির হাওলাদার গংরা ডিক্রি বাতিল চেয়ে ডিক্রির বিরুদ্ধে ২০১৮ সালে পিরোজপুর সহকারী জজ আদালতে দেওয়ানী মামলা করেন। দেওয়ানী মামলাটি চলমান রয়েছে। শুক্রবার(২৩জুলাই) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে মতলেব শিকদার গংদের দীর্ঘদিনের ভোগদখলীয় ওই জমিতে চাষাবাদ করতে গেলে প্রতিপক্ষ নাসির হাওলাদার গংরা বাধা দেয়। এতে বাক-বিত-ার একপর্যায়ে নাসির গংরা দাও, রামদা, কুড়াল নিয়ে মতলেব গংদের ওপর হামলা চালিয়ে জখম করেন। প্রতিপক্ষের হামলা প্রতিরোধ করতে গিয়ে উভয় পক্ষের ১৭ জন আহত হন। কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. প্রীতম কুমার পাইক জানান, প্রতিপক্ষের ধারালো অস্ত্রের কোপে আহত আবদুল হকের অবস্থা গুরুতর। ইউপি চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিন হাওলাদার জানান, ১৯৬১ সালে আদালতের ডিক্রি মূলে মতলেব গংরা ৬০/৬৫ বছর ধরে শান্তিপূর্ণভাবে ওই জমি ভোগদখল করে আসছে। প্রতিপক্ষ নাসির হাওলাদার গংরা পরিকল্পিতভাবে এ হামলা চালিয়েছে। মঠবাড়িয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহা. নুরুল ইসলাম বাদল জানান, জমি সংক্রান্ত বিরোধে এ হামলা ও সংর্ঘষের ঘটনা ঘটেছে। ইতোমধ্যে থানা পুলিশ নাসির হাওলাদার ও তার ছেলে ছগির ও আইয়ুবকে আটক করেছে। এ ঘটনায় মামলার প্রক্রিয়া চলছে।