শরণখোলার পল্লীতে অশিক্ষা, দারদ্রি, নিরাপত্তাহীনতা ও সামাজিক নানা কুস্কাররে কারণে বাল্য বিয়ের দিকে দাবিত হচ্ছে এক শ্রেণেরি অভিভাবক। মাত্র ১৫ দিনের ব্যবধানে নবাগত উপজলো নির্বাহী কর্মকর্তা খাতুনে জান্নাত অভিযানে চালিয়ে ৩ টি বাল্য বিয়ে বন্ধ করেছেন। ভ্রাম্যমান আদালত বসিয়ে করা হয়েেছ র্অথদ-। বিয়ে অনুষ্ঠান থেকে পালিয়েছে বর যাত্রী ও কাজী।
উপজলো প্রশাসন সুত্র জানায়, গত ২৩ জুলাই রাতে উপজলোর মালিয়া রাজাপুর গ্রামে বাল্য বিয়ের আয়োজন চলছিল। উপজেলা নির্বাহী র্কমর্কতা খবর পেয়ে তড়িগড়ি ব্যবস্থা নিলে ঐ বিয়ে বন্ধ হয়।
এদিকে উপজলোর গোলবুনষ্টিয়া গ্রামরে সেলিম গাজীর অপ্রাপ্তবয়স্ক মেয়ে দোলন আক্তারকে (১৫) একই উপজলোর বকুলতলা গ্রামরে আঃ গনি গাজীর পুত্র আনোয়ার হোসনেরে সাথে বিয়ের দিন ঠিক করা হয়।
গত ১৯ জুলাই দুপুরে উভয় পক্ষের নির্ধারিত দিনে মেয়ের বাড়িতেবিয়ের র্কাযক্রম শুরু হয়।
গোপন সংবাদরে ভত্তিেিত ঠিক সেই মুর্হুতে উপজলো নির্বাহী র্কমর্কতা ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট খাতুনে জান্নাত পুিলশ নিয়ে ঐ বাড়িতে উপস্থিত হয়। বন্ধ করে বাল্য বিয়ে। পরে ভ্রাম্যমান আদালত বসিয়ে বর পক্ষকে তিন হাজার ও কনে পক্ষকে দুহাজার টাকা র্অথদন্ড করা হয়।
অপরদেিক গত ৭ জুলাই দুপুরে নির্ধারিত দিনে মালিয়া গ্রামের দেলোয়ার মোল্লার অপ্রাপ্তবয়স্ক মেয়ের সাথে দক্ষিণ রাজাপুর গ্রামের অহিদুল তালুকদারে ছেলে তানভীরের ( ১৮) বিয়ের র্কাযক্রমের প্রস্তুতি চলছিল। পাশেই মসজিদে অপেক্ষা করছিল বর যাত্রী। এ সময় উপজলো নির্বাহী র্কমর্কতা পুিলশ নিয়ে উপস্থিত হয়। বিয়ে পন্ড করে দেয়। খবর পেয়ে বর যাত্রী পালিয়ে যায়। পরে ভ্রাম্যমান আদালত বসিয়ে কনে পক্ষকে দুহাজার টাকা জরিমানা করেন।
বিভিন্ন সুত্রে জানাযায়, সরকারি নিয়মানুযায়ী বিবাহের বয়স ছেলের ২১ বছর ও মেয়ের ১৮ বছর হওয়া বাধ্যতামুলক। কিন্তু দারিদ্র্য, অশিক্ষা নিরাপত্তাহীনতা ও সামাজিক নানা ধরনরে কুসংস্কারের কারণে এ আইনরে প্রতি তোয়াক্কা না করে এক শ্রণেরি অভিভাবকরা বাল্য বিয়ের দিকে ঝুকে পড়ছে। বাল্য বিবাহের ফলে নারী শিক্ষার অগ্রগতি ব্যহত হওয়া ছাড়াও মাতৃমৃত্যুর সম্ভাবনা থাকে। অপ্রাপ্তবয়স্ক মা প্রতবিন্ধী শিশু জন্মদান করতে পারে। বিবাহ বিচ্ছদের আশঙ্কা ছাড়া মানুিষক ও দৈহিক ক্ষতিসহ পারিবারিক অশান্তি দেখা দেয়। শরণখোলার কোন কোন পরিবার এসব জেনেও বাল্য বিয়ে দেয়ার জন্য ব্যাস্ত হয়ে পরছে।
উপজলো নির্বাহী র্কমর্কতা খাতুনে জান্নাত মানবকন্ঠকে বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিেিত দুটি বিয়ে বাড়িতে অভিযান চালিয়ে বাল্য বিয়ে বন্ধ করি। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে র্অথদন্ড করি। আরো একটি বিয়ে বন্ধ করা হয়েছে। তিনি এ ধরনের বাল্য বিয়ের আয়োজন করা হলে গোপনে তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করার জন্য সকলরে প্রতি আহবান জানান। তিনি আরো বলেন, করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবকি হলে বাল্য বিয়ে প্রতিরোধে প্রতি ইউনিয়নে জনপ্রতিনিধি, চৌকিদার, কাজী, ও সাংবাদিকদের নিয়ে সরকারি নির্দেশনা বাস্তবায়নের জন্য আলোচনা সভা করার পরিকল্পনা রয়ছে।