খুলনার পাইকগাছায় বোরো মৌসুমে ধান-চাল সংগ্রহ অভিযান নিদৃষ্ট সময়ের আড়াই মাস আগেই লক্ষমাত্রা অর্জন হয়েছে। চলতি বোরো মৌসুমে সরকার উপজেলায় ৬৭২মেট্রিক টন ধান, ১৪১.৫৭০মেট্রিক টন চাল সংগ্রহের লক্ষমাত্রা বেঁধে দেয়। খাদ্য অধিদপ্তর ২৮এপ্রিল থেকে ধান, ৭মে থেকে চাল সংগ্রহের পরিপত্র জারী করে। ২৪মে হতে ১৬আগষ্টের মধ্যে ধান ও চাল সংগ্রহের সময়সীমা বেঁধে দেয়া হয়। যা ১৯জুনের মধ্যে শতভাগ ক্রয় সম্পন্ন হয় বলে জানান খাদ্য গুদাম কর্মকর্তা শিবুপদ ঘোষ। তিনি আরও বলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসারে পরামর্শে ধান ও চাল সংগ্রহের আগে কৃষক ও মিলারদের সাথে বৈঠক করেন। নিদৃষ্ট সময় থেকে কৃষকদের নিকট থেকে ২৭টাকা কেজি বা ২৭হাজার টাকা প্রতি টন ধান কেনার সিদ্ধান্ত নেয়। চাল ৪০টাকা কেজি ১হাজার ৬শ টাকা মন দরে চাল বিক্রয়ের জন্য ৮জন মিলার চুক্তিবদ্ধ হন। এর মধ্যে ভদ্র রাইসমিল ১৫.৯০০মেট্রিকটন, নিউ সুন্দর বন চাল কল ১৪.৭০০মেট্রিকটন, শীল রাইস ১২.৩৩০মেট্রিকটন, দাশ রাইস ১১.৯৪০মেট্রিকটন, সাধু রাইস ১৩.৯২০মেট্রিকটন, গাজী অটো ২৮.২৩০মেট্রিকটন, গাজী ট্রেডার্স ২৫.৮৬০মেট্রিকটন, ও বিশ্বকর্মা রাইস ১৮.৬৯০মেট্রিকটন চাল গুদামে চুক্তি অনুযায়ী দিয়েছেন। এদিকে উপজেলার পুরাইকাটী গ্রামের কৃষক আ. রশিদ জানায়, এ বছর বোরো ধান ভালো হয়েছে, পোকামাকড় ও বৃষ্টিতে তেমন নষ্ট হয়নি। আমি গুদামে অনেকের মত ধান বিক্রি করেছি। খাদ্য গুদাম কর্মকর্তা জানান, এ বছর সরাসরি স্থানীয় কৃষকের নিকট থেকে ধান মিলারদের কাছ থেকে চাল কেনা হয়েছে। ফলে ৩১আগষ্ট নয় ১৯জুনের মধ্যে লক্ষ অর্জন সফল করা সম্ভব হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবিএম খালিদ হোসেন সিদ্দিকী বলেন, সরাসরি কৃষকদের সাথে যোগাযোগ ও মিলারদের সাথে সমন্বয় করায় সরকারের বেঁধে দেয়া সময়ের আগেই ধান-চাল সংগ্রহে লক্ষ মাত্রা অর্জন করা সম্ভব হয়েছে।