বগুড়ার আাদমদীঘির মুরইল বাস ষ্ট্যান্ডে যাত্রীদের বিশ্রামাগার অবৈধভাবে দখল করে চা-মিষ্টির দোকান চালিয়ে যাচ্ছে এক ব্যবসায়ী। এদিকে যাত্রী ছাউনীতে দোকান থাকায় বিভিন্ন স্থানে যাতায়াতের যাত্রীদের পোহাতে হচ্ছে চরম ভোগান্তি। দেখার কেউ নেই। রৌদে পুড়ে বৃষ্টিতে ভিজে যেতে হচ্ছে গন্তব্য স্থানে।
জানা যায়, বগুড়া-নওগাঁ মহাসড়কের আদমদীঘির মুরইল বাস ষ্ট্যান্ডে যাত্রীদের বিশ্রামাগার হিসাবে তৈরী করা হয় যাত্রী ছাউনী। বগুড়া, ঢাকা সহ দেশের বিভিন্ন স্থানে যাতায়াতের জন্য যাত্রীরা মুরইল বাস ষ্ট্যান্ডে পৌছে যাত্রী ছাউনীতে বসে থাকে তাদের গন্তব্য স্থানে যাওয়ার যানবাহনের আসায়। গাড়ী না আসা পর্যন্ত তাদের অপেক্ষা করতে হয় ঘন্টার পর ঘন্টা। সেই যাত্রী ছাউনীটি এক শ্রেণীর অসাধু ব্যাক্তিরা অবৈধভাবে জবর দখল করে গড়ে তুলেছে চা-মিষ্টির দোকান। সেখানে চা ও মিষ্টির দোকানে চলছে আড্ডা। যাত্রী ছাউনীতে বিশ্রাম নিতে না পেরে যাত্রীরা রৌদে পুড়তে হয়, বৃষ্টির পানিতে ভিজতে হয়। শুক্রবার দুপুরে মুরইল সরেজমিনে গিয়ে যাত্রী আছমা বেগমের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, গাড়ীর জন্য অপেক্ষা করতে হচ্ছে কিন্তু যাত্রী ছাউনীর ভিতরে চা ও মিষ্টির দোকান থাকায় সেখানে পুরুষদের আড্ডা চলে। বিশ্রাম নেওয়ার কোন সুযোগ নেই। তাই এই কঠিন রৌদের মধ্যে দাঁড়িয়ে থাকতে হচ্ছে। এমনকি বৃষ্টি হলে ভিজতে হবে। লেলিনসহ একাধিক যাত্রীদের সাথে কথা বললে তারাও একই কথা বলেন। স্থানীয় ব্যাক্তিরা বলেন, জরুরী ভিত্তিতে এই দোকানগুলো অপসারন করতে উদ্ধর্তৃন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি কামনা করেন।এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা শ্রাবনী রায়ের সাথে মুঠোফোনে কথা বললে তিনি বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে জরুরী ভিত্তিতে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।