খুলনা জেলার রূপসায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের হেফজখানা শাখায় প্রবেশ করে কোমলমতি শিশু ছাত্রদের উপর অতর্কিত হামলা চালানোর অভিযোগ উঠেছে উৎশৃঙ্খল এক অভিভাবক মহিলার বিরুদ্ধে। এ হামলায় অন্তত ১১ জন ছাত্র আহত হয়েছেন। তাদের সকলকে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় ওই হামলাকারী উৎশৃঙ্খল মহিলা শাহিদা আক্তার রিয়া এর বিরুদ্ধে প্রতিষ্ঠানের পরিচালক আব্দুল্লাহ আত তাহসিন নিজে বাদী হয়ে ওই রাতেই রূপসা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছেন। ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার সন্ধ্যায় উপজেলার নৈহাটী ইউনিয়নের কিসমত খুলনা খোড়ার বটতলাস্থ বর্ণমালা ইসলামীয়া শিক্ষালয়ে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সূত্রে জানা যায়, বর্ণমালা শিক্ষালয়ে সোমবার মাগরিবের পূর্ব মূহুর্তে শিক্ষালয়ের কোরআনের হেফজ বিভাগের ছাত্র ও নৈহাটীর শহীদ মিনার রোডস্থ রুপ নগর এলাকার মুজিবর রহমান ঝন্টুর ছেলে ওই প্রতিষ্ঠানের ছাত্র রাইয়ান রহমান রাদের সাথে একই হেফজ বিভাগের ছাত্র রাকিব ও আবির আলীর কলহ-বিবাদ এবং হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। একপর্যায়ে রাইয়ান রহমান রাদ কাদতে কাদতে বাড়িতে গিয়ে তার মায়ের কাছে এ অভিযোগটি তুলে ধরে। কিন্তু সন্তানের পক্ষ নিয়ে ওই উৎশৃঙ্খল মহিলা শাহিদা আক্তার রিয়া বাড়ি থেকে বের হয়ে মুহুর্তের মধ্যে তার সাথে থাকা এক যুবতীকে নিয়ে সংঘবদ্ধ হয়ে ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রবেশ করেই শিক্ষক হাফেজ আল নুসাইবের কাছ থেকে বিদ্যালয়ের লাঠি কেড়ে নিয়ে কক্ষে থাকা মাদ্রাসার কোমলমতি শিশু ছাত্রদের অসভ্য ভাষায় গালাগাল করে এবং এলোপাতাড়ি ভাবে বেদম মারপিট করে। পরে খবর পেয়ে স্থানীয় রূপসা বাস স্ট্যান্ড ফাঁড়ি পুলিশের টু আইসি মো. শাহাবুদ্দিন ঘটনা স্থল পরিদর্শন করেন। উপস্থিত হেফজ খানার শিক্ষক হাফেজ আল নুসাইব জানান, আবদুর রহমান তোহা (৮), আবিদ হাসান শিহাব (৪), মোসাদ্দেক বিল্লাহ (৬), আবদুর রহমান ইসা (৬), রায়হান (৯), সাজ্জাত (৫), রাকিবুল হাসান (১০), স্বাধীন (৫), হাসানুল বান্না, সাকিব (১১), মাহিম (৯), আবির আলী (৭), সিয়াম (৬)কে আমার হাত থেকে লাঠি কেড়ে নিয়ে ওই মহিলা তাদেরকে পিটিয়ে আহত করে। তবে এ ঘটনায় শিক্ষক, অভিভাবক ও ছাত্রদের মধ্যে চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে। প্রতিষ্ঠানের পরিচালক আব্দুল্লাহ আত তাহসিন বলেন, ওই হামলাকারী মহিলার বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে। তবে তিনি এই মহিলার শাস্তি দাবি করেছেন।এব্যাপারে রূপসা থানার কর্মকর্তা ইনচার্জ সরদার মোশাররফ হোসেন বলেন, এ ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ হয়েছে। বিষয়টি তদন্তের জন্য ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হবে।