মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহর ওপর গুলিবর্ষনের বিচার ও দায়েরকৃত দুইটি মামলা প্রত্যাহার করা না হলে যেকোন সময় বরিশাল বিভাগ অচলের হুমকি দেওয়া হয়েছে।
শনিবার বিকেল চারটায় সিটি মেয়রের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের প্রতিবাদে বরিশাল বিভাগ উপজেলা পরিষদ এসোসিয়েশন এবং বিভাগের সকল পৌর মেয়রগণের পৃথক দুটি সংবাদ সম্মেলনে এ হুমকি দেওয়া হয়। বরিশাল বিভাগ উপজেলা পরিষদ এসোসিয়েশনের উদ্যোগে বরিশাল ক্লাবের অমৃত লাল দে মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করে গৌরনদী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সৈয়দা মনিরুন নাহার মেরী।
সংবাদ সম্মেলনে অনতিবিলম্বে মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহর বিরুদ্ধে দায়ের করা মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানানো হয়। সংবাদ সম্মেলনে বিভাগের ৬৩ জন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে আগৈলঝাড়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রইচ সেরনিয়াবাত বলেন, সিটি মেয়রের ওপর গুলিবর্ষনের ঘটনা ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে প্রশাসন দুইটি মামলা দায়ের করেছে। উভয় মামলায় সিটি মেয়রকে প্রধান আসামি করা হয়েছে। প্রশাসনের এ জুলুম কোন অবস্থাতেই মেনে নেওয়া হবেনা। প্রশ্ন রেখে তিনি বলেন, এটা কিসের আলামত কেউ বলতে পারেন। বরিশাল জেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতি সাদ্দাম হোসেন একবছর পূর্বে মৃত্যুবরণ করেছেন। অথচ সেই মৃত ব্যক্তিকেও মামলার আসামি করা হয়েছে। এমনকি পুলিশ তাকে গ্রেফতারের জন্য তার বাসায়ও অভিযান চালিয়েছে। তিনি বলেন, সিটি মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহর ওপর গুলিবর্ষনের বিচার ও দায়েরকৃত দুইটি মামলা প্রত্যাহার করা না হলে যেকোন সময় বরিশাল বিভাগ অচল করে দেওয়া হবে।
একইস্থানে একইদাবিতে দুপুরে বরিশাল বিভাগের সকল পৌর মেয়রদের উপস্থিতিতে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। ওই সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন গৌরনদী পৌরসভার মেয়র ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ হারিছুর রহমান।
পালিত হয়নি গ্রেনেড হামলা দিবস ॥ ২০০৪ সাল থেকে বরিশালে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা দিবস পালন করা হলেও এবছর বরিশাল নগরীতে দিবসটি পালিত হয়নি। গত ১৮ আগস্ট দিবাগত রাতে শোক দিবসের ব্যানার অপসারণ করা নিয়ে প্রশাসন, পুলিশ ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সাথে সংঘর্ষের ঘটনায় দায়েরকৃত কয়েকশ’ নেতাকর্মীকে আসামি করা এবং গ্রেফতার হওয়ায় অধিকাংশ নেতাকর্মীরা গ্রেফতার আতংকে আত্মগোপন করেছেন। এজন্য এবার দিবসটি পালিত হয়নি।