চিকিৎসার জন্য ঢাকায় থেকেও আমি বরিশালের মিথ্যে মামলার আসামি হলাম কীভাবে। আর এদিয়ে প্রমাণিত হয়েছে মামলাটি ষড়যন্ত্রমূলক ও মিথ্যা।
অর্থাৎ বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহসহ আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যে মামলা দিয়ে ফাঁসানো হচ্ছে। এছাড়া যতোদূর জানতে পেরেছি মামলায় একজন মৃত ব্যক্তিকেও আসামি করা হয়েছে।
দল ক্ষমতায় থাকা সত্বেও ঢাকায় থেকে বরিশালের মামলায় আসামি হয়ে চরম ক্ষোভ করে কথাগুলো বলছিলেন, আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী ও পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনার পর পুলিশের দায়ের করা মামলার ৮নাম্বার আসামি বরিশাল জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী আব্দুর রাজ্জাক।
প্রকৌশলী আব্দুর রাজ্জাক আরও বলেন, গত ১৬ আগস্ট আমি আমার অসুস্থ স্ত্রীকে নিয়ে চিকিৎসার জন্য ঢাকায় যাই। এরপর স্ত্রীর চিকিৎসা নিয়ে ব্যস্ত ছিলাম। এরমধ্যে বুধবার রাতে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে জানতে পারি বরিশালে গন্ডগোল হচ্ছে। এরপর বিভিন্ন মাধ্যমে ঘটনা সম্পর্কে অবগত হই এবং ১৯ আগস্ট বিকেল সাড়ে তিনটার ইউএস বাংলার একটি ফ্লাইটে ঢাকা থেকে বরিশালে আসি। যার বোর্ডিং পাসের কাগজও আমার কাছে রয়েছে।
বরিশালে এসে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের কাছ থেকে জানতে পারি যে দুইটি মামলা হয়েছে তার একটির ৮ নাম্বর আসামি আমি। তিনি আরও বলেন, আমি আমার বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকেও তুলে ধরেছি, আমি এ ঘটনার বিচার চাই।
এ ব্যাপারে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মোঃ শাহাবুদ্দিন খান বলেন, একজনের বিরুদ্ধে মামলা হতেই পারে। তবে তদন্তে সত্য ঘটনা বেরিয়ে আসবে। সেখানে কেউ দোষী না হলে তাকে অব্যাহতি দেয়া হবে।