সাধারন মানুষ কে বোঝানোর জন্য রাস্তার দু-ধারে টাঙানো রয়েছে লাল কাপড়। মাঝে ছোট ব্রীজের একাংশ ভেঙে পড়ে রয়েছে প্রায় দুই বছর। এলাকার মানুষ কে চলাচলের জন্য পাশেই একটি বাশের সাকো তৈরি করা হয়েছে। সেটির অবস্থাও জরাজীর্ন। ভ্যান-রিক্সা, সাইকেল নয় কোন রকমে মানুষ চলাচল করতে পারে। এমন টি কালীগঞ্জে ফুলবাড়ি এলাকার ব্রীজের। ব্রীজের সমস্যার কারণে কৃষকরা তাদের জমির ফসল ও নিতে পারছে না। এ ব্রীজ ভাঙ্গা থাকার কারণে রাতে দু,জন মটরসাইকেল নিয়ে যাবার সময় নদীতে পড়ে গিয়ে দুজনই মারা যায়।
ভৈরব নদীর উপর ঝিনাইদহ কালীগঞ্জ ফুলবাড়ি এলাকায় অবস্থিত ব্রীজটি আকারে ছোট হলেও পাশ্ববর্তি ফুলবাড়ি, ঝনঝনিয়া, কাস্টভাঙ্গা, বেলে ঘাটসহ বিভিন্ন গ্রাম এবং যশোরের চৌগাছা উপজেলার মানুষ বারোবাজার, কালীগঞ্জ এলাকায় যাতায়াতের পাশাপাশি জরুরী প্রয়োজন ও ব্যবসা-বাণিজ্যের জন্য ব্রীজটি ব্যবহার করে থাকে এলাকাবাসি। পাশাপাশি কৃষকের ক্ষেতের সবজি যশোরের, বারবাজার,কালীগঞ্জ,বারিনগর, চুড়ামনকাঠিসহ বিভিন্ন বাজারে পৌছাতেও ব্যবহার করা হতো ব্রীজটি। এলাকার মানুষের চলাচলের একমাত্র ভরসা এই ব্রিজটি।প্রায় দুই বছর আছে ভৈরব নদীর এই অংশটি খনন করা হয়। ফলে খনন পরবর্তি বর্ষায় পানির চাপ বেড়ে যায় নদীতে। ফলে পানি তোড়ে ভেঙে পড়ে ব্রীজের একাংশ। কিছুদিন পরে বাশের সাকো তৈরি করা হলেও সেটিও ভেঙে গেছে। প্রায় এক মাস আগে এই স্থানে রাতে মটরসাইকেল নিয়ে যাওয়ার সময় নদীতে পড়ে দুই জনের মৃত্যু হয়। পাশের গ্রাম ঝনঝনিয়া যেতে হলে প্রায় ৫ কিলোমিটার ঘুরে আসতে হয় ঐ গ্রামের মানুষদের।
ইউপি চেয়ারম্যান আয়ুব হোসেন জানান, দ্রুত কাজ শুরু করা হবে ট্রেন্ডার হয়ে গেছে।ব্রীজটি পরিদর্শন করে ওয়ার্ক অর্ডার ঠিকাদার পেয়েছে। ২৫ মিটার প্রস্থের ভৈরব নদীর উপর অবস্থিত ৬০ মিটার দৈর্ঘের ব্রীজটির নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছে ৪ কোটি ২ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা।