নদীমাতৃক দেশ বাংলাদেশ। বাংলাদেশে ছোট বড় নদী মিলে নদীর সংখ্যা প্রায় সাত শত। নদীগুলোর নাম ফুলের নামের মতোই সুন্দর। তবে এই সুন্দর নামের নদীগুলো অধিকাংশই বর্ষাকালে হয়ে উঠে বিধ্বংসী। তাদের রুদ্ররোষের শিকার হয়ে প্রায় প্রতি বছর বাড়ি-ঘর, জমি-জায়গা হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে পড়ে লাখ লাখ মানুষ। এই দুর্ভোগ যেন অনতিক্রম্য। ১৯৭০ সাল থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত বন্যার সমীকরণ লক্ষ্য করলে দেখ যায় কেবল ১৯৭০ সালের প্রলয়ঙ্করী বন্যা ও জলোচ্ছ্বাসে মারা গেছে ৫ লাখ মানুষ। এ বন্যায় উপকূলের ১৬ হাজার বর্গমাইল এলাকা প্লাবিত হয়। নষ্ট হয় ১২ লাখ ৯৮ হাজার টন খাদ্যশস্য। ১৯৭১ সালে আরও একটি ভয়ানক বন্যা হানা দেয় এই ভূখ-ে। এ বন্যায় ১৪ হাজার বর্গমাইল এলাকা প্লাবিত হয়, এবং ক্ষতিগ্রস্ত ফসলের পরিমান ১২ লাখ টন। এ বছর মারা যায় ১২০ জন মানুষ। ২ লাখ ১৯ হাজার ঘরবাড়ি বিনষ্ট হয়, এবং গবাদি পশু মারা যায় প্রায় ২ হাজার। ঠিক একইভাবে ৭২, ৭৩, ও ৭৪ সালে এ দেশ ভয়াবহ বন্যার কবলে পড়ে এবং বিপুল ক্ষয়ক্ষতির সম্মুখীন হয়।
বাংলাদেশে সবচেয়ে প্রলয়ঙ্করী ও সর্বগ্রাসী বন্যা আঘাত হেনেছিল ১৯৮৮ সালে। এ বন্যায় দেশের প্রায় ৬৬ শতাংশ ভূমি প্লাবিত হয়েছিল। মারা গিয়েছিল ৩ হাজার মানুষ এবং কমপক্ষে সাড়ে চার কোটি মানুষ বাস্তুহারা হয়েছিল অস্থায়ীভাবে। ঢাকাসহ প্রধান শহরগুলো কয়েক সপ্তাহ ব্যাপী পানির নিচে নিমজ্জিত ছিল এবং ঢাকা আন্তর্জাতিক বিমানববন্দর, যা বর্তমানে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর নামে পরিচিত, টানা ৫ দিন বন্ধ ছিল। রেলপথ, মহাসড়ক ও সেতুর মতো গুরুত্বপূর্ণ যোগাযোগ ব্যবস্থা বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছিল। বন্যায় রাজধানী ঢাকার সঙ্গে সমগ্র দেশের যোগাযোগ হয়ে পড়েছিল বিচ্ছিন্ন। সরকারি সূত্রানুযায়ী, ৮৮’র বন্যায় শুধু ক্ষতিগ্রস্ত রেলপথ মেরামত করতেই তখন প্রায় ৪০০ কোটি টাকা খরচ হয়। ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছিল ৭০ লাখের মতো বাড়িঘর। বছরের প্রধান খাদ্যশস্য, আউশ ধান নষ্ট হয়ে গিয়েছিল প্রায় ২০ লাখ টন। ফলে ওই বছর ৩০ লাখ টন খাদ্যঘাটতি দেখা দেয়। কৃষক হয়ে পড়ে অসহায়। অসহায় হয়ে পড়ে গোটা দেশ। জনজীবন হয়ে পড়ে নিশ্চল। জরিপ অনুযায়ী, তৎকালীন ৬০ লাখ বাসিন্দার রাজধানী ঢাকা শহরের প্রায় ৫০ লাখ পানিবন্দি হয়ে পড়ে। ঢাকায় প্রায় ৪০০ ত্রাণশিবির খোলা হয়। এসব ত্রাণশিবিরে আশ্রয় নিয়েছিল প্রায় ৫ লাখ বন্যাক্রান্ত মানুষ।
১৯৯৩ সালে বিরামহীন বৃষ্টিতে দেশের হাজার হাজার হেক্টর জমির শস্য পানিতে তলিয়ে যায়। মোট ২৮টি জেলা বন্যার কবলে পড়ে মারাত্মকভাবে। ১৯৯৮ সালের বন্যার প্রকোপ দেখা দেয় আগস্ট মাসে। এতে ৬৮ শতাংশ এলাকার ১ লাখ ২৫০ বর্গ কিলোমিটার এলাকা প্লাবিত হয়। বন্যার ব্যাপ্তি, ভয়াবহতার দিক থেকে এটি ১৯৮৮ সালের বন্যার সাথেই তুলনীয়। ব্যাপক বৃষ্টিপাত, একইসময়ে দেশের প্রধান তিনটি নদীর প্রবাহ বৃদ্ধির প্রাবাল্যে ও ব্যাক ওয়াটার এফেক্টের কারণে এই বন্যার উৎপত্তি ঘটে।
এছাড়া ১৯৯৮ সালের ভয়াবহ বন্যার পর ২০০০ সালের আগস্ট-সেপ্টেম্বরে এক আকস্মিক বন্যায় দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় ৭ টি এবং দক্ষিণাঞ্চলীয় ২টি জেলার ৪১ টি উপজেলার ২৮০টি ইউনিয়নে ৩০ লাখ মানুষের জীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে। ৮ লাখের বেশি মানুষ গৃহহীন হওয়ার পাশাপাশি উঠতি ফসলের ব্যাপক ক্ষতি সাধিত হয়। বেসরকারি হিসেবে মৃত মানুষের সংখ্যা ছিল ১৩০ জন। এদের বেশিরভাগই মূলত সাপের কামড়ে পানিতে ডুবে, এবং পেটের পীড়ায় মারা যায়। সরকারি বিবৃতিতে জেলা তথ্য কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে জানানো হয় যে ৫৮ হাজার ৯০৫ টি পরিবারের ৩১ লাখ ৯২ হাজার ৭৮৬ জন বন্যায় প্রত্যক্ষভাবে ক্ষতির সম্মুখীন। ওই সময় ৮ লাখেরও বেশি মানুষ গৃহহীন হয়ে পড়ে। বিংশ শতাব্দির পর ২০০৭ সালের বন্যাকে ‘২০০৭ এর মহাবন্যা’ বলে আখ্যায়িত করা হয়। ২০০৭ সালের বন্যা হয় সেপ্টেম্বর মাসে। এতে দেশের ৪২ শতাংশ এলাকার ৬২ হাজার ৩০০ বর্গকিলোমিটার এলাকা প্লাবিত হয়। ২০১৭-১৮ সালের বন্যা ছিল ১৯৮৮, ৯৮ সালের বন্যার মতোই ব্যাপক প্রলয়ঙ্করী। ২০১৭-১৮ সালটা ছিল একটি ‘লা নিনা’ (খধ ঘরহধ) বছর। এই দু; বছরে যত রকম দুর্যোগ সংঘটিত হয়েছে তা মূলত ‘লা নিনা’র প্রভাবে।
‘নদীর ধারে বাস, তো ভাবনা বারো মাস’। এই ভাবনা থেকে বাংলাদেশের মানুষের, বিশেষকরে নদীর ধারের মানুষের যেন মুক্তি নেই। নদী ভাঙনের কারণগুলোর দিকে তাকালে কিন্তু মনে হয় আমাদের অনেক কিছুই করার আছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, নদীর গতিকে বাধাগ্রস্থ করার কারণেই নদীভাঙন ঘটে থাকে। অনেক সময় নদীর মাঝখান দিয়ে আড়াআড়িভাবে বাঁধ দেয়ার চেষ্টা করা হয়। এতে নদীর ভাঙন ত্বরান্বিত হয়। অবশ্য এই কাজ যদি একান্ত করতেই হয় তাহলে আগে নদীর পাড় যথেষ্ট মজবুত করে নিতে হবে। অপরিকল্পিতভাবে নদীর গতিপথ পরিবর্তনের চেষ্টাও নদী ভাঙনের একটা বড় কারণ। শহরাঞ্চলে পানি নিষ্কাশনের জন্য প্রয়োজনীয় খাল বা নালা দখল করে ফেলায় কিংবা অন্য কোনো কারণে সেগুলো বন্ধ করে ফেলায় বর্ষা মৌসুমে নদীর উপর পানির চাপ অনেক বেড়ে যায়। পানির অতিরিক্ত প্রবাহের চাপ তখন পড়ে পাড়ে। ফলে সৃষ্টি হয় ভাঙন।
বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলে দেখা যায় নদীর পাড়ে বেশ খানিকটা জায়গা ছেড়ে দিয়ে ভেতরের দিকে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ নির্মাণ করা হয়। ফলে যে অংশ বাঁধের বাইরে থাকে সেই অংশ অরক্ষিত থাকে এবং অনেক সময় ভেঙে যায়। নদীর পাড়ের ঘাস, কাশবনসহ অন্যান্য বন উজাড় করে ফেললে মাটি দুর্বল হয়ে পড়ে এবং পানির প্রবল প্রবাহে ভাঙন সৃষ্টি হয়। এ ছাড়া অপরিকল্পিতভাবে নদী খনন বা ড্রেজিংয়ের কারণে ক্ষতির শিকার হয় নদী। আরেকটি বিষয় হচ্ছে দুর্নীতি। নদী ভাঙন রোধে নেয়া বিভিন্ন উদ্যোগে দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। দেখা যাচ্ছে, যে প্রক্রিয়ায় এবং যে ধরণের দ্রব্য ব্যবহার করে নদীর পাড় মজবুত করতে বলা হয়, দুর্নীতি করতে গিয়ে তা করা সম্ভব হয় না। ফলে সরকারি উদ্যোগ থাকলেও বাস্তবে তা তেমন সহায়ক হয় না।
এসব মনুষ্যসৃষ্ট কারণ ছাড়াও প্রাকৃতিক কারণেও নদী ভাঙে। বাংলাদেশ একটি পলি গঠিত বদ্বীপ। এই দ্বীপে ভাঙা-গড়ার খেলা চলছে হাজার হাজার বছর ধরে। সেই প্রাকৃতিক খেলা আমাদের পক্ষে বন্ধ করা কঠিন। কিন্তু আমরা, মানুষরা, যেসব কারণ সৃষ্টি করেছি, সেগুলো যদি রোধ করা যায়, তাহলে নিঃসন্দেহে নদী ভাঙনের ক্ষতি রোধ সম্ভব হবে। প্রশ্ন হচ্ছে, আমরা কি এই ব্যাপারে সচেষ্ট হবো?
নদীর তীরকে ভাঙনের হাত থেকে রক্ষা করতে নতুন কৌশল উদ্ভাবন করেছেন প্রকৌশলী সৈয়দ এমদাদুল হক। তিনি পানির সর্বনিম্ন লেভেল থেকে উপরিভাগের ঢালে ছিদ্রযুক্ত কংক্রিটের ব্লকের গালিচা এবং প্লাস্টিকের প্রলেপযুক্ত মোটা তার দিয়ে গালিচা তৈরির কৌশল উদ্ভাবন করেন। তার প্রযুক্তিকে পানি বিশেষজ্ঞরাও কার্যকর বলে মত দিয়েছেন।
জানা গেছে, পানিসম্পদ মন্ত্রণালয় প্রস্তাবিত পরস্পর সংযুক্ত কংক্রিট ব্লকের গালিচা প্রয়োগ করে একটা পাইলট প্রকল্প সম্পাদনে ইনস্টিটিউট অব ওয়াটার মডেলিং এবং মানব হিতৈষী সংস্থাকে যৌথভাবে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছে। বর্তমানে এ গবেষণাকে এগিয়ে নিতে পানি উন্নয়ন বোর্ডের অনুমতির অপেক্ষায় রয়েছে। তারা সহযোগিতা করলেই গবেষণাটি সফলতার মুখ দেখবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
নদীমাতৃক বাংলাদেশে নদীপথের দৈর্ঘ্য প্রায় ১৮ হাজার কিলোমিটার। আর পোল্ডার, হাওড়, নদী ও উপসাগর তীরবর্তী এলাকায় রয়েছে প্রায় ১৪ হাজার কিলোমিটার দৈর্ঘের বাঁধ। এই তীরভূমি এবং বাঁধে প্রতি বছর বিশেষ করে বর্ষাকালে পানির প্রবল স্রােতে এবং বর্ষার পানি কমার সঙ্গে সঙ্গে প্রচ- ভাঙন দেখা দেয়। এই ভাঙনে বছরে প্রায় ১০ লাখ মানুষ প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
তীরভূমি রক্ষার জন্য সারা পৃথিবীতে যেসব রক্ষামূলক কাজ চলছে, তাকে দুটো শ্রেণিতে ভাগ করা যায়। প্রথমত, গালিচার মতো আচ্ছাদন বা কাভার। দ্বিতীয়ত, অসংখ্য ক্ষুদ্র বস্তুর আচ্ছাদন বা কাভার। বাংলাদেশে নদী, হাওর ও সাগর তীরবর্তী ভূমিকে পানির প্রবল ঢেউ থেকে রক্ষার জন্য দ্বিতীয় ধরনের আচ্ছাদন প্রয়োগ করা হয়। এজন্য প্রচুর পাথর, কংক্রিটের ব্লক ও বালিভর্তি জিও ব্যাগ দেওয়া হয়। প্রথম ধরনের আচ্ছাদন প্রয়োগ করার চেয়ে দ্বিতীয় ধরনের আচ্ছাদন প্রয়োগ করা সহজ। কিন্তু সহজ কাজ থেকে আশানুরূপ ফল পাওয়া সম্ভব নয়।
আগে কেবল নগর রক্ষায় নদীশাসনের কাজ কিংবা নদীর পাড় রক্ষার কাজ হাতে নেয়া হতো। ১৯৮৭-৮৮ সালের বন্যার ফলে নদী ভাঙছে কেন, বন্যা নিয়ন্ত্রণকারী বাঁধ ধসে পড়ছে কেন- এ বিষয়গুলো মূল্যায়ন করা হয়। এই মূল্যায়নের পরিপ্রেক্ষিতে ১৯৮৯ সালে বন্যা ব্যবস্থাপনা নামক একটি নীতিমালা প্রণয়ন করা হয়। কিন্তু আমরা সেই নীতিমালার কথা সম্ভবত পুরোপুরি ভুলে গেছি। ওই নীতিমালায় পরিস্কারভাবে বলা হয়েছে, নদীভাঙন রোধ ছাড়া দেশের বন্যা ব্যবস্থাপনার বাঁধগুলো টিকিয়ে রাখা যাবে না। পরিকল্পিতভাবে নদীশাসনের কাজটি করতে হবে। চীন থেকে আসা বিশেষজ্ঞদের সহযোগিতায় মহাপরিকল্পনা প্রণীত হয়েছিল। কিন্তু তখন নদীভাঙন রোধে অর্থনীতিবিদরা প্রকল্প সমর্থন করতে রাজি হননি। অর্থনৈতিক চুক্তির সঙ্গে সঙ্গে সামাজিক ও রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান এবং মানুষের আশা-আকাক্সক্ষার কথা চিন্তা করে নদীশাসনের বিষয়ে ভাবা হচ্ছে। কিন্তু এই কাজে প্রযুক্তি নির্বাচন নিয়ে কি ভাবা হচ্ছে?
আমাদের দেশে সেই পাকিস্তান আমল থেকেই নদীভাঙন রোধে কংক্রিটের ব্লক ও বালুভর্তি ব্যাগ নদীতে ফেলে ভাঙন রোধের চেষ্টা হয়ে আসছে। এই কৌশল সাময়িকভাবে ভাঙন ঠেকালেও তা দীর্ঘমেয়াদি সুফল দিচ্ছে না। বরং বারবার ভাঙন রোধে এই ব্লক ও বালুভর্তি ব্যাগ ফেলায় নদীর তলদেশ ভরে উঠে নাব্যসংকট সৃষ্টি করছে।
নদীভাঙন ঠেকানো সম্ভব। যদি উপযুক্ত প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়। এর জন্য যে খরচ হবে তার যৌক্তিকতা, নিরেট অর্থনীতির বিবেচনায় কোনোদিন পূরণ হবে না। এটি সুস্পষ্ট যে, বাংলাদেশ সরকারের আর্থিক অবস্থা দিনে দিনে ভালো হচ্ছে। সরকার এখন নদীশাসনের প্রকল্প হাতে নিতে পারে। সরকার যে নদী ভাঙন রোধে অর্থ বরাদ্দ করছে না তা কিন্তু নয়। কিন্তু অর্থ বরাদ্দ করলে আর পরিকল্পিভাবে কাজ না করলে উপকারের পরিবর্তে অপচয় হতে পারে, এমনকি ক্ষতিও হতে পারে। বন্যা ব্যবস্থাপনা নিয়ে নতুন করে ভাবতে হবে। ১৯৫৪, ৫৫, ৫৬ সালের বন্যার পরে বঙ্গবন্ধু বন্যা ব্যবস্থাপনার পক্ষে যে জোরালো রাজনৈতিক দাবি তুলে ধরেছিলেন, তা আমরা ভুলতে বসেছি। বন্যা ব্যবস্থাপনাতে আমরা অনেক এগিয়েছি, তারপরও আমাদের অনেক ভুল বোঝাবুঝি আছে। এটিকে ডেলটা প্ল্যানের আওতায় এনে পুনর্মূল্যায়ন করা হলে মানুষকে উপকার পৌঁছে দেওয়া সম্ভব। নদীভাঙন রোধে গতানুগতিক পদ্ধতি ব্যবহার বন্ধ করতে হবে। সঠিক, বিজ্ঞানসম্মত ও প্রকৌশলসম্মত পদক্ষেপ নিতে হবে এবং এ কাজে বিপুল অর্থ বরাদ্দের ব্যবস্থাব করতে হবে। তবে, যতটুকু অর্থ বরাদ্দ হবে তা সঠিক ও সুন্দর পন্থায় কাজে লাগাতে হবে। খাই খাই সম্প্রদায়কে জোরালোভাবে প্রতিহত করতে হবে।
তাহসিনুল ইসলাম: কথাশিল্পী