মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরার অনুষ্ঠানে কর্মরত সাংবাদিকদের সঙ্গে জেলা প্রশাসনের ম্যাজিষ্ট্রেট এর অসৌজন্যমুলক আচরনের প্রতিবাদে মন্ত্রীর অনুষ্ঠান বর্জন করেছে খাগড়াছড়িতে কর্মরত পেশাজীবি সাংবাদিকরা।
১৫ সেপ্টেম্বর বুধবার খাগড়াছড়িতে নব নির্মিত শিশু একাডেমীর ভবনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ ঘটনা ঘটে। তাৎক্ষনিক সাংবাদিকরা অনুষ্ঠান স্থল ত্যাগ করেন এবং বাইরে এসে প্রতিবাদ করেন। তাৎক্ষনিক প্রতিবাদ সভায় বক্তব্য রাখেন খাগড়াছড়ি প্রেসক্লাবের সহ-সভাপতি মোহাম্মদ জহুরুল আলম,খাগড়াছড়ি প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আবু তাহের মুহাম্মদ,অর্থ সম্পাদক মিজ চিংমে প্রু মারমা। এ ছাড়া প্রতিবাদ সভায় সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সাধারণ সম্পাদক কানন আচার্য্য,সাংবাদিক জয়ন্তী দেওয়ান,সমীর মল্লিক,আল মামুন,লিটন ভট্টাচার্য্য রানা, জাফর সবুজসহ অন্যান্য সাংবাদিকগন উপস্থিত ছিলেন।
প্রতিবাদ সভায় সাংবাদিকরা অভিযোগ করেন, জেলা প্রশাসেনর পক্ষথেকে অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার জন্য সাংবাদিকদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিলো। কিন্তু অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের বসার জন্য কোন আসন রাখা হয়নি। বিষয়টি জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা এবং জেলা শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা উষানু চৌধুরীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেও কোন সুরাহা হয়নি। একপর্যায়ে মন্ত্রীর গনসংযোগ কর্মকর্তার আলমগীরের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি সামনে খালি হয়ে যাওয়া প্রথম সারির আসনে সাংবাদিকদের বসান। কিছুক্ষন পর জেলা প্রশাসনের ম্যাজিষ্ট্রেট মেহেদী হাসান সাকিল সাংবাদিকদের আসন ছেড়ে দেয়ার নির্দেশ নিয়ে বলেন, এগুলো সংরক্ষিত (ভিআইপি ) আসন, আপনারা উঠে যান। এ অসৌজন্যমুলক আচারণে সাংবাদিকরা বিব্রত হন এবং প্রতিবাদে অনুষ্ঠান স্থল ত্যাগ করেন। সাংবাদিক নেতারা জানান,আমরা অনুষ্ঠানের সংবাদ বর্জন করেছি এবং অভিযুক্ত ম্যাজিস্ট্রেট ক্ষমা না চাইলে ভবিষ্যতে জেলা প্রশাসনের কোন কর্মসূচিতে সাংবাদিকরা অংশ নিবে না এবং সংবাদ প্রচার থেকে বিরত থাকবে।