রাজশাহীর তানোরে এক গৃহবধূকে উত্ত্যক্তের (যৌন নির্যাতন) প্রতিবাদ করায় দিনমজুর স্বামী ও শ্বাশুড়ীকে প্রভাবশালী ওই লম্পট ও তার ভাই দফায় দফায় মারপিট করেছে। এনিয়ে আজ (১৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে লম্পট একু ও তার ভাই ঝড়-র বিরুদ্ধে তানোর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। অভিযোগের প্রেক্ষিতে থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
অভিযোগ ও পরিবার সূত্রে জানা গেছে, তানোর পৌর এলাকার চাঁদপুর মহল্লার বাসিন্দা মৃত ইসলামের পুত্র মুনজুর রহমান সম্প্রতি (১৬ সেপ্টেম্বর) বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে বাড়ির বাইরে ছিলেন। এসুযোগে ওই একই মহল্লার বাসিন্দা মৃত মগরব মন্ডলের পুত্র আলতাব আলী ওরফে একু (৩৭) বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত সাড়ে ৯টার দিকে মুনজুরের বাড়িতে গিয়ে ওই গৃহবধূর স্বামীর কণ্ঠে দরজা খুলতে বলে। এতে গৃহবধূ (৩০) দরজা খুলে দেয়। এ সময় লম্পট একু গৃহবধূকে জাপ্টে ধরে শরীরের স্পর্শকাতর স্থানে হাত দিয়ে যৌন নির্যাতন ঘটায়। এহেন পরিস্থিতিতে গৃহবধূর ডাক চিৎকারে একু পালিয়ে যায়। পরে গভীর রাতে গৃহবধূর স্বামী মুনজুর (৩৪) বাড়িতে এলে ঘটনা জানানো হয়।
এঘটনার পরদিন (১৭ সেপ্টেম্বর) শুক্রবার সকালে একু চাঁদপুর মোড়ে সুরুজের দোকানে চা খেতে এলে তাকে দেখে মুনজুর তার স্ত্রীকে যৌন নির্যাতনের কারণ জানতে চেয়ে ধাক্কা মেরে মাটিতে ফেলে দেয়। এ সময় হৈচৈ শুনে একুর ছোট ভাই ঝড়- (৩২) ছুটে এসে দুইভাই মিলে মুনজুরকে বেধড়ক লাঠি দিয়ে পেটায়।
ওই ঘটনার সূত্র ধরে আজ (১৮ সেপ্টেম্বর) সকালে মুনজুর একুর বাড়ির দক্ষিণ পাশ দিয়ে চাঁদপুর মোড়ের দিকে আসছিলেন। এ সময় একু ও তার পরিবারের লোকজন পথরোধ করে মুনজুরের ওপর হামলা করে। হৈচৈ শুনে গৃহবধূ তার স্বামী মুনজুর ও শ্বাশুড়ী আলেকজান (৫২) ছেলেকে উদ্ধার করতে গেলে তাদেরকেও বেধড়ক পেটায় একু ও ঝড়-সহ বেশ কয়েকজন।
এনিয়ে আলতাব আলী একু বলেন, মুনজুর তার বিরুদ্ধে সাজানো ঘটনা গ্রামে ছড়িয়েছে। এজন্য তাকে উত্তম মাধ্যম দেয়া হয়। সকালে পুলিশ এসে তাকে সমাধান করে নিতে বলেছে বলে জানান তিনি।
এনিয়ে তানোর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মানিক বলেন, অভিযোগের প্রেক্ষিতে ঘটনা তদন্ত করে উভয়পক্ষকে থানায় ডাকা হয়েছে। ওসি স্যারের নির্দেশ পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এব্যাপারে তানোর থানার কর্মকর্তা ইনচার্জ (ওসি) রাকিবুল হাসান বলেন, বিয়য়টি তিনি অবগত নন। থানায় অভিযোগ হয়ে থাকলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান ওসি।