লক্ষ্মীপুরের রামগতিতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছোট ছেলে ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছোট ভাই শেখ রাসেলের ৫৭তম জন্ম বার্ষিকী ও শেখ রাসেল দিবস পালন করা হয়েছে। এ উপলক্ষে উপজেলা প্রশাসন, উপজেলা আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে। কর্মসূচির মধ্যে ছিল শেখ রাসেলের প্রতিকৃতিতে পুস্পস্তবক অর্পণ, চিত্রাঙ্কন, রচনা ও কুইজ প্রতিযোগিতা।
সোমবার সকাল ৭ টায় উপজেলার পরিষদ চত্বরে শেখ রাসেলের প্রতিকৃতিতে প্রথম পুস্পস্তবক অর্পণ করেন উপজেলা প্রশাসন। এ সময় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এস এম শান্তুনু চৌধুরী, সহকারি কমিশনার (ভূমি) মোহাম্মদ আবুল হাসনাত খাঁন, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ সোলাইমান, উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম পাঠানসহ উপজেলা পরিষদের বিভিন্ন বিভাগীয় কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন। পরে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল ওয়াহেদ ও পৌর মেয়র এম মেজবাহ উদ্দিনের নেতৃত্বে নেতা-কর্মীরা উপজেলা আওয়ামী লীগের পক্ষে শেখ রাসেলের প্রতিকৃতিতে পুস্পস্তবক অর্পণ করা হয়।
শেষে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে “শেখ রাসেল দীপ্ত জয়োল্লাস অদম্য আত্মবিশ্বাস” প্রতিপাদ্য বিষয়ের উপর এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এস এম শান্তুনু চৌধুরীর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, পৌর মেয়র এম মেজবাহ উদ্দিন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ সোলাইমান, উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আহসান, উপজেলা অ্যাকাডেমিক সুপারভাইজার মামুনুর রশিদ উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম পাঠান প্রমূখ।
বক্তারা বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছোট ছেলে ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছোট ভাই শেখ রাসেল ১৯৬৪ সালের এ দিনে ধানমন্ডির বঙ্গবন্ধু ভবনে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট সপরিবারে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয়। এ হত্যাকান্ড থেকে সেদিনের অবুঝ শিশু রাসেলও রেহাই পাননি। বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত খুনিরা সেদিন বঙ্গবন্ধুর উত্তরাধিকার নিশ্চিহ্ন করতে চেয়েছিল। তাই নরপশুরা নিষ্পাপ শিশু ইউনিভার্সিটি ল্যাবরেটরি স্কুলের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র শেখ রাসেলকেও রেহাই দেয়নি। নরপিশাচরা নিষ্ঠুরভাবে তাকেও হত্যা করে।
আলোচনা শেষে চিত্রাঙ্কন, রচনা ও কুইজ প্রতিযোগীতায় বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সহকারি কমিশনার (ভূমি) মোহাম্মদ আবুল হাসনাত খাঁন।