ময়মনসিংহে পুলিশের ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল (টিআরসি) পদে চাকুরি দেয়ার নামে প্রতারণার অভিযোগে তিনজনকে আটক করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। এরা হলো জামালপুরের মেলান্দহ উপজেলার ছামিউল আলম (৬৬), ময়মনসিংহের ফুলপুর উপজেলার জালাল উদ্দিন (৭৫) ও ময়মনসিংহের মুক্তাগাছা উপজেলার মারুফ মিয়া (১৯)। মঙ্গলবার (২৬ অক্টোবর) দুপুরে ডিবি কার্যালয়ে প্রেস বিফ্রিং এসব কথা জানান জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম।
ডিবি ওসি জানান, ছামিউল আলম নিজেকে সরকারের অতিরিক্ত সচিব বলে পরিচয় দিয়ে গত ২৫ অক্টোবর পুলিশ সুপার আহমার উজ্জানকে তার পছন্দের ৩ জন প্রার্থীকে পুলিশ ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল (টিআরসি) পদে চাকুরী দেয়ার জন্য বলে। ছামিউলের কথোপকধন ও বে-আইনীভাবে টিআরসি নিয়োগের জন্য অনুরোধের বিষয়টি পুলিশ সুপারের সন্দেহ হয়। পরে পুলিশ সুপারের নির্দেশে ছামিউলকে জামালপুরের মলোন্দহ উপজেলার বলেতলী বাজার থেকে আটক করে ডিবি পুলিশ। ছামিউল একসময় পুলিশ বিভাগের অনিয়মিত খুচরা মোটর পার্টস সরবরাহকারী ঠিাকাদার হিসেবে কাজ করতেন। সে ঐ এলাকার মৃত বজলুর রহমানের ছেলে।
অন্য প্রতারক মারুফ মিয়া কনস্টেবল পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হওয়ার পর অনলাইনে আবেদন করিলে সে স্ক্রিনিং এ বাতিল হয়। সে চাকুরী প্রার্থী হিসেবে পরীক্ষায় অংশগ্রহনের জন্য কম্পিউটারে সাহায্যে ভূয়া প্রবেশপত্র তৈরী করে। গত ২৫ অক্টোর বিকেলে পুলিশ লাইন্সে নিয়োগ বোর্ডের সামনে ভূয়া প্রবেশপত্র নিয়ে হাজির হইলে নিয়োগকারী বোর্ড মারুফ মিয়ায় প্রবেশপত্রটি ভূয়া বলিয়া নিশ্চিত করে। পরে সাময়িক জিজ্ঞাসাবাদে মারুফ মিয়া মুক্তাগাছা একটি কম্পিউটারের দোকানে ভূয়া প্রবেশপত্রটি তৈরীর ঘটনার কথা স্বীকার করে। অভিযানকালে ভূয়া প্রবেশপত্র তৈরী কাজে ব্যবহৃত কম্পিউটারটি জব্দ করা হয়। ভূয়া প্রবেশপত্র তৈরী কাজে সহায়তাকারীদের আটক করার জন্য অভিযান অব্যাহত আছে বলেও জানান ডিবি ওসি। মারূফ জেলার মুক্তাগাছা উপজেলার খেরুয়াজানী ইউনিয়নের রহিমবাড়ি গ্রামের সোরহাফ আলীর ছেলে।
পুলিশ আরো জানান, কনস্টেবল পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হওয়ার পর অনলাইনে আবেদনকারীদেরকে চাকুরী পাইয়ে দেয়ার আশ্বাস দিয়ে অপর প্রতারক জালাল উদ্দিন ৫ জন প্রার্থী সংগ্রহ করে। এ সময় প্রত্যেক প্রার্থীর নিকট থেকে অগ্রিম ৫০ হাজার টাকা করে নেয়। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে ডিবি পুলিশ ফুলপুরের রূপসী ইউনিয়নের কুড়িপাড়া গ্রামের নিজ বাড়ী থেকে প্রতারক জালাল উদ্দিনকে আটক করে। সে কুড়িপাড়া গ্রামের হানিফ উদ্দিনের ছেলে।
আটককৃতদের নামে কোতোয়ালী মডেল থানায় মামলা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে এবং অন্যান্যের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।