ভোলার দৌলতখানে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনী সহিংসতা শুরু হেয়েগেছে। উপজেলার চরখলিফা ইউনিয়নে দুই মেম্বার প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে অন্তত ২০ জন আহত হয়েছে। এ সময় ১টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও কয়েকটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করা হয়। বুধবার(২৭ অক্টোবর) রাত সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলার চরখলিফা ইউনিয়নের কলাকোপা ১ নং ওয়ার্ডে হাজি বাড়ির দরজায় সহিংসতার এ ঘটনা ঘটে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, রাত সাড়ে ৮টার দিকে কলাকোপা ১ নং ওয়ার্ডের তালা প্রতীকের মেম্বার প্রার্থী ইয়ার হোসেন তার নির্বাচনী এলাকায় কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে প্রচার প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছিলেন। এ সময় প্রতিদ্বন্দ্বী ফুটবল প্রতীকের প্রার্থী রাহাত তালুকদারের কর্মী-সমর্থকরা ওই প্রচারণায় হামলা চালায়। একপর্যায়ে উভয়পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংর্ঘস চলাকালীন তালা প্রতীক প্রার্থীর সমর্থকদের কয়েকটি মোটর সাইকেল ও একটি ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান ভাঙচুর করা হয়। সহিংসতায় গুরুতর আহতরা হলেন, মেম্বার প্রার্থী ইয়ার হোসেন মনজুর, সেলিম, সাকিব, সজিব, ছালাউদ্দিন, সোহাগ, তামজিদ, রায়হান, বাচ্চু
আহতদের দৌলতখান উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়েছে। আহত মেম্বার প্রার্থী ইয়ার হোসেন জানান, বুধবার রাতে শান্তিপূর্ণ ভাবে তারা নির্বাচণী প্রচার প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছিলেন। এ সময় পূর্বপরিকল্পিতভাবে প্রতিদ্বন্দ্বী ফুটবল প্রতীকের প্রার্থী রাহাত তালুকদারের নেতৃত্বে ইমন, ইমরান ও কামালসহ কমপক্ষে অর্ধশতাধিক লোক লাঠিসোটা নিয়ে অতর্কিত হামলা করে। এতে তার ১৫ জন কর্মী-সমর্থক আহত হয়। তিনি এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান। পাল্টা অভিযোগ এনে ফুটবল প্রতীকের প্রার্থী রাহাত তালুকদার বলেন, আমার উঠান বৈঠক চলাকালে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ইয়ার হোসেন দলবলসহ হামলা চালিয়ে তার ৫ জন কর্মীকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে ও মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে। তিনিও এ ঘটনার বিচার দাবী করেন। দৌলতখান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বজলার রহমান জানান, ‘ এ ঘটনায় অভিযোগ পাওয়া গেলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।