বরিশালের বাবুগঞ্জে এবার নির্বাচনে প্রথমবারের মতো ইলেকট্রিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) মাধ্যমে ভোট দেয়ার অভিজ্ঞতা অর্জন করতে যাচ্ছেন রহমতপুর ইউনিয়নের ভোটাররা। তবে এ প্রযুক্তির মাধ্যমে ভোট নিয়ে তারা শঙ্কায় রয়েছেন। নির্বাচনে পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দেয়া যাবে কিনা এ তা নিয়েও ভাবছেন অনেকেই। কারণ যারা ইভিএম নিয়ন্ত্রণ করবেন তারা কতটুকু নিরপেক্ষ থাকবেন সেটা নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে। উপজেলার রহমতপুর ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডের ভোটার আবুল হোসেন জসিম,শফিকুলসহ কয়েকজন প্রায় অভিন্ন কথা বলেছেন। তারা বলেন, ‘পেপার পত্রিকায় জেনেছি, রাজধানীতে প্রধান নির্বাচন কমিশনার(সিইসি) নিজেই ইভিএমে ভোট দিতে গিয়ে সমস্যায় পড়েছিলেন। আমরা কিভাবে সুষ্ঠু, সুন্দরভাবে ভোট দিব সেটাই তো চিন্তায়। তবে গ্রামের বৃদ্ধ ও নারী ভোটাররা ইভিএম সম্পর্কে ধারণা না থাকায় ভোট কেন্দ্রে উপস্থিতি কম হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলেন মনে করছেন সচেতন মহল। বাবুগঞ্জের একাধিক জনপ্রতিনিধিরা বলছেন ভোটারের সংশয় দূর করতে কোনো উদ্যোগ সংশ্লিষ্টদের মধ্যে দেখা যাচ্ছে না। তারা বলছেন নতুন এ পদ্ধতি নিয়ে প্রচার ও প্রশিক্ষণের দরকার ছিল। তবে অনেকের মধ্যে ইভিএমে ভোট নিয়ে অনেক আগ্রহও রয়েছে। ৩ নং ওয়ার্ডের ভোটার রমজান আলী জানান,আমার কাছে ইভিএম পদ্ধতি সুন্দর ও সহজ মনে হচ্ছে। নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানাগেছে, দলীয় মনোনয়ন নিয়ে মাঠে আছেন বাবুগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মৃধা মুঃ আক্তার-উজ-জামান মিলন, দলীয় মনোনয়ন বঞ্চিত সদ্য আ.লীগে যোগদানকৃত বর্তমান চেয়ারম্যান মোঃ সরোয়ার মাহমুদ(স্বতন্ত্র), সাবেক চেয়ারম্যান আলহাজ¦ মোস্তফা কামাল সিকদার (স্বতন্ত্র) এছাড়াও ওয়ার্কার্স পার্টির মনোনীত প্রার্থী হয়েছেন পার্টির উপজেলা সাধারণ সম্পাদক মোঃ শাহিন হোসেন ও ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশ মনোনীত চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী মাওলানা আবদুল হাকিম। উপজোলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোঃ সাইফুল ইসলাম ইভিএম ভোট নিয়ে সংশয় শঙ্কার কোনো কারণ নেই বলে জানিয়েছেন। তিনি বলেন, প্রতিটি ভোট কেন্দ্রে ভোটারদের দিয়ে ডামি ভোট (ভোট প্রদানের প্রক্রিয়া) কর্মসূচির ব্যবস্থা করা হয়েছে। কেন্দ্রে কেন্দ্র এ কার্যক্রম চালাতে পুরো রহমতপুরের ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে প্রচার চালানো হচ্ছে।