নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এমপি বলেছেন, এই শেখ ফজলুল হক মনি’র রক্তধারাকে অনুসরণ করেই আজকে বাংলাদেশে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার বিচার হয়েছে। ৭১ এর খুনিদের বিচার হয়েছে। অপরাধীদের বিচার হয়েছে। বাংলাদেশে আইনের শাষন প্রতিষ্ঠা হয়েছে। বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা আজকে তৈরী হয়েছে। আজকে শুধু তাই নয়, বাংলাদেশের মানুষের সার্বিক মান উন্নয়ন হয়েছে।
যেই ৭৫ সালে শেখ ফজলুল হক মনিকে ৭৫ এর হত্যাকান্ড সংঘটিত করে স্বাধীনতার সুখ মুছে ফেলার চেষ্টা করা হয়েছিল সেই বাংলাদেশ আজকে স্বাধীনতার সুখ অনুভব করে। যখন দেখে বাংলার প্রতিটি ঘরে ঘরে শেখ হাসিনা’র নেতৃত্বে বিদ্যুতের আলো জ¦লছে, যখন বাংলার মানুষ দেখে টেকনাফ থেকে তেঁতুলিয়া সড়ক অবকাঠামো তৈরী হয়েছে, যখন বাংলার মানুষ দেখে দিনাজপুর থেকে ঐ কক্সবাজার পর্যন্ত রেললাইন তৈরী হয়েছে, আবার বাংলাবান্ধা থেকে টেকনাফ পর্যন্ত রেললাইন তৈরী হচ্ছে, যখন বাংলাদেশের মানুষ দেখে নৌপথগুলো চলাচলের অনুপযোগী হয়েছে, যখন দেখে মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্র বন্দর হচ্ছে, পায়রা গভীর সমুদ্র বন্দর হচ্ছে, যখন দেখে বাংলাদেশের মানুষ অর্থনীতির সহায়তায় বাংলাদেশের গর্বের স্থাপত্য পদ্মা সেতু নির্মিত হচ্ছে, তখন বাংলার মানুষ স্বাধীনতার সুখ অনুভব করে! যখন দেখে শেখ হাসিনা’র নেতৃত্বে আমাদের নারীরা তাঁদের অধিকার প্রতিষ্ঠা হয়েছে, যখন আমরা দেখি বিনামূল্যে নতুন বই নিয়ে আমাদের সন্তানেরা স্কুলে যাচ্ছে, তখন আমরা স্বাধীনতার সুখ অনুভব করি! আমরা যখন দেখি বাংলার একটি মানুষও না খেয়ে নাই, উত্তরবঙ্গে আর মঙ্গা হানা দেয় না, তখনই আমরা স্বাধীনতার কথা বলি। তখন আমরা বলি, রক্ত কথা বলে! যেই রক্তকে ১৯৭৫ সালে ১৫ আগস্ট দিয়ে মুছে ফেলার চেষ্টা করা হয়েছিল, সেই রক্তের উত্তরাধিকার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা’র নেতৃত্বে আজকে বাংলাদেশের মানুষ স্বাধীনতার সুখ অনুভব করছে। যুবলীগের ৪৯তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে এর থেকে বড় কিছু প্রাপ্তি আর কিছুই নাই। যুবলীগ প্রতিষ্ঠা হয়েছিল বাংলার ঘরে ঘরে স্বাধীনতার সুখ পৌঁছে দেয়ার জন্য। আজকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা’র নেতৃত্বে যুবলীগ সেই কাজটি সম্পন্ন করেছে। স্বাধীনতার এই যে সুখ আমরা ঘরে ঘরে পৌঁছে দিয়েছি, সেই সুখ কেউ যেন বিনষ্ট করতে না পারে সেই আশাবাদ ব্যক্ত করছি।
বৃহষ্পতিবার বিকালে বিরল উপজেলা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার চত্ত্বরে নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এমপি প্রধান অতিথি’র বক্তব্য প্রদানকালে উপর্যুক্ত কথাগুলো বলেন।
উপজেলা যুবলীগের সভাপতি আবদুল মালেক এর সভাপতিত্বে ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান এর সঞ্চালনায় যুবলীগের ৪৯তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি’র বক্তব্য রাখেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও পৌর মেয়র আলহাজ¦ মোঃ সবুজার সিদ্দিক সাগর, সাধারণ সম্পাদক রমাকান্ত রায়, সহ-সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা আলহাজ¦ মোঃ আবুল কাশেম অরু প্রমূখ।
আলোচনা সভা শেষে বিশাল একটি কেক কাটা হয় এবং মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উপভোগ করেন উপস্থিত অতিথিবৃন্দসহ উপজেলা আওয়ামী লীগ ও এর অংগসংগঠন সমূহের নেতৃবৃন্দ।