রাজশাহীর তানোরে ৬টি ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে মূল লড়াই হয়েছে আ.লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী ও আ.লীগের বিদ্রোহী স্বতন্ত্র প্রার্থীদের মধ্যে। এদের মধ্যে আ.লীগ মনোনীত ৪ জন এবং আ.লীগের বিদ্রোহী স্বতন্ত্র প্রার্থী ২ জন বিজয়ী হয়েছেন। গত (১১ নভেম্বর) বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা হতে বিকেল ৪টা পর্যন্ত একটানা উপজেলার কলমা, বাধাঁইড়, পাঁচন্দর, তালন্দ, কামারগাঁ ও চাঁন্দুড়িয়া ইউপি নির্বাচন শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হয়।
নির্বাচন অফিস সূত্র জানায়, উপজেলার ১ নম্বর কলমা ইউপিতে তানোর উপজেলা আ.লীগের সহসভাপতি বিদ্রোহী স্বতন্ত্রপ্রার্থী খাদেকুন্নবী বাবু চৌধুরী নিকটতম আ.লীগ মনোনীত প্রার্থী আহসানুল হক স্বপনের চেয়ে ৬,০৫৯ ভোট বেশি নির্বাচিত হয়েছেন।
এছাড়া ২ নম্বর বাধাঁইড় ইউপিতে আ.লীগ মনোনীত ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমান চেয়ারম্যান আতাউর রহমান নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ইউনিয়ন বিএনপি’র সাবেক সহসভাপতি স্বতন্ত্রপ্রার্থী কামরুজ্জামান হেনা পরাজিত হয়েছেন।
অপরদিকে, ৩ নম্বর পাঁচন্দর ইউপিতে আ.লীগ মনোনীত ইউনিয়ন আ.লীগের সভাপতি ও বর্তমান চেয়ারম্যান আবদুল মতিন নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম আ.লীগের বহিস্কৃত বিদ্রোহী স্বতন্ত্রপ্রাথী উপজেলা আ.লীগের সভাপতি গোলাম রাব্বানীর সহোদর ভাই শরিফুল ইসলাম তিনিও পরাজিত হন।
তবে, ৪ নম্বর সরনজাই ইউপি নির্বাচন সম্প্রতি ১০ নভেম্বর সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে সচিবালয়ের এক চিঠির প্রেক্ষিতে সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং অফিসার সরনজাই ইউপি নির্বাচন স্থগিত ঘোষনা করেন। ফলে এই পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়নি।
কিন্তু ৫ নম্বর তালন্দ ইউপি নির্বাচনে ইউনিয়ন আ.লীগের সভাপতি নাজিমুদ্দিন বাবু বিদ্রোহী স্বতন্ত্রপ্রার্থী হিসেবে প্রতিযোগিতা করে ২৩৩ ভোট বেশি নির্বাচিত হয়েছেন। তবে, আ.লীগ মানোনীত নৌকা প্রতিকের প্রার্থী বর্তমান চেয়ারম্যান আবুল কাশেম বিপুল ভোটে পরাজিত হন।
এছাড়া ৬ নম্বর কামারগাঁ ইউপিতে আ.লীগ মনোনীত ইউনিয়ন আ'লীগ সভাপতি ফজলে রাব্বী ফরাদ নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিদ্রোহীপ্রার্থী উপজেলা আ.লীগের ত্রাণ-সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক ও বর্তমান চেয়ারম্যান মোসলেম উদ্দিন পরাজিত হয়েছেন।
সবশেষ ৭ নম্বর চাঁন্দুড়িয়া ইউপিতে আ.লীগ মনোনীত প্রার্থী ইউনিয়ন আ'লীগ সভাপতি ও বর্তমান চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান ৬২৮ ভোট বেশি পেয়ে আবারও চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম আ.লীগের বিদ্রোহী স্বতন্ত্র প্রার্থী জেলা পরিষদ সদস্য ও উপজেলা আ.লীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক আবদুস সালাম পরাজিত হন।
তবে, পুরো উপজেলার ৭টি ইউনিয়নে ২৬ জন প্রার্থী চেয়ারম্যানপদে অংশ নেন। আর সংরক্ষিত নারী সদস্যপদে ৬৯ জন ও সাধারণ সদস্যপদে ২৫২ জন বৈধ প্রার্থী ছিল। তবে, সংরক্ষিত নারী মেম্বার ও সাধারণ মেম্বার প্রার্থীদের মধ্যে জয়-পরাজয়ের তথ্য পাওয়া যায়নি।