নোয়াখালীর সেনবাগে অপহরণ মামলায় দীর্ঘদিন জেল খেটে বের হয়ে এসে মামলার বাদি দেলোয়ার হোসেন (২৬) ও তার পিতা রেজাউল হক (৫৬ )কে কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যার চেষ্ঠা চালিয়েছে মিজানুর রহমান (২৮) ও মামুন (৩৫) নামের একদল সন্ত্রাসী।
ওই হামলার ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার (১২ নভেম্বর) বিকেলে সেনবাগ উপজেলার কাবিলপুর ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের ফতেহপুর গ্রামের আমির আলী মুসলিম পাটোয়ারী বাড়িতে। এ সময় স্থানীয়রা দেলোয়ারকে মুমুর্ষ অবস্থায় উদ্ধার করে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে এবং জেরাউল হককে স্থানীয় একটি হাসপাতালে ভর্তি করান। এরমধ্যে দেলোয়ারের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানাগেছে।
হামলাম শিকার রেজাউল হক জানায়, তাদের বাড়িতে সম্পত্তি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে বড় ভাই মমিনুল হক ও তার ছেলেদের সঙ্গে বিরোধ চলে আসছিলো। ওই বিরোধের জেরে এক বছর আগে ভাইয়ের ছেলে ভাতিজা ও ভাড়া করা সন্ত্রাসীরা তার ছেলে দেলোয়ারকে পরিকল্পিত ভাবে অপহরণ করে বেগমগঞ্জের রসুলপুর গ্রামে হিন্দু চিতা খোলায় নিয়ে জবাই করে হত্যার চেষ্ঠা চালায়। ওই সময় দেলোয়ার কৌশলে পানি সাতরিয়ে পালিয়ে এসে প্রানে রক্ষাপায়। এরপর দেলোয়ার অপহরণ ও হত্যার চেষ্ঠার মামলা দায়ের করলে পুলিশ তাদরে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করে। তারা দীর্ঘদিন হাজত বাসের পর সম্প্রতি জামিনে বের হয়ে এসে বিভিন্ন চলচাতুরির মাধ্যমে বিবাদে জড়ানোর চেষ্ঠা করে। শুক্রবার (১২ নভেম্বর) বিকাল ৪টার দিকে দেলোয়ার নিজেদের দখলীয় জায়গায় বেড়া দেওয়ার সময় অতর্কিতে মিজানুর রহমান ও মামুনের নেতৃত্বে ৫/৭জনের একদল সন্ত্রাসী অতর্কিতে ধারালো অস্ত্র দা চেনী ও সাবল দিয়ে দেলায়ারকে এলোপাথাড়ী পিটিয়ে ও কুপিয়ে মাথা সহ শরীরে বিভিন্নস্থানে আঘাত করে। এ সময় তার চিৎকারে পিতা রেজাউল হক ছেলেকে রক্ষায় এগিয়ে এলে সন্ত্রাসীরা তাকেও এলাপাথাড়ী পিটিয়ে আহত করে।
এ ব্যাপারে যোগাযোগ করলে সেনবাগ থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি ইকবাল হোসেন পাটোয়ারী এধরণের একটি ঘটনা শুনেছেন বলে জানান। অভিযোগ দিলে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও নিশ্চিত করেন তিনি।