রাজশাহীর মোহনপুর উপজেলায় ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে চেয়ারম্যানপদে আওয়ামী লীগের ছয়জন বিদ্রোহী প্রার্থী নির্বাচনি মাঠে রয়েছেন। বিদ্রোহী প্রার্থীর কারণে বিপাকে রয়েছেন নৌকার প্রার্থীরা। প্রতিদিন প্রচার প্রচারণা করতে গিয়ে বিভিন্ন স্থানে নৌকা ও বিদ্রোহী প্রার্থীর নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ ও মোটরসাইকেল ভাংচুরের ঘটনা ঘটছে। আওয়ামী লীগের মনোনীত নৌকা ও বিদ্রোহী প্রার্থীদের এমন আচারণ দেখা বিভিন্ন মন্তব্য করেছেন সাধারণ ভোটাররা। ৬ টি ইউনিয়ন পরিষদের মধ্যে ৫টি ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের ছয়জন বিদ্রোহী প্রার্থী নির্বাচনি মাঠে রয়েছেন। বিদ্রোহী প্রার্থীর বিরুদ্ধে দলীয় ব্যবস্থা না নেয়ায় তৃণমূল নেতাকর্মীদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া বিরাজ করছেন। নেতাকর্মীরা জানান, উপজেলা আওয়ামী লীগ বলেছেন নৌকার বিরুদ্ধে বিদ্রোহী প্রার্থী পক্ষে প্রচার প্রচারণা করা যাবেনা। উপজেলা আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীর বিরুদ্ধে দলীয় ব্যবস্থা না নেয়ায় বিপাকে রয়েছেন তৃণমূল নেতাকর্মীরা।
মোহনপুর উপজেলার ৬ টি ইউনিয়নের মধ্যে ধুরইল ইউনিয়ন ছাড়া ঘাসিগ্রাম, রায়ঘাটি, মৌগাছি, বাকশিমইল ও জাহানাবাদ ইউনিয়নে ছয়জন বিদ্রোহী প্রার্থী রয়েছেন। প্রতীক বরাদ্দের পর নৌকা, বিদ্রোহী ও স্বতন্ত্র মিলে মোট ২০ জন, সংক্ষিত আসনে ৬০ জন ও সাধারণ সদস্যপদে ১৮৯ জন প্রার্থীরা নিজ নিজ এলাকায় নির্বাচনি প্রচার প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। আগামী ২৮ নভেম্বর ভোট গ্রহণ হবে। মোহনপুর উপজেলার আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ মো. মফিজ উদ্দিন কবিরাজ বলেন, দুই/ একদিনের মধ্যে বিদ্রোহী প্রার্থীদের বিরুদ্ধে দলীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।