নওগাঁর মান্দায় ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে সংরক্ষিত এক সদস্য প্রার্থীর ব্যানার আগুন দিয়ে পুড়িয়ে ও পোষ্টার ছিঁড়ে নষ্ট করে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। শনিবার গভীররাতে উপজেলার বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ চকরামপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনায় ভুক্তভোগী প্রার্থী রোববার দুপুরে রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থীর নাম ফরিদা ইয়াসমিন। তিনি উপজেলার বিষ্ণপুর ইউনিয়নের দাসপাড়া গ্রামের হাবিবুর রহমানের স্ত্রী। আসন্ন নির্বাচনে বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের সংরক্ষিত ২ নম্বর ওয়ার্ডে সূর্যমুখী ফুল প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। ঘটনায় সন্দেহের তীর উঠেছে একই ওয়ার্ডের প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী সাদিয়া খাতুন টপির বিরুদ্ধে। সর্ম্পকে তাঁরা ননদ ও ভাবী।
স্থানীয় চায়ের দোকানি আবদুল মজিদ জানান, শনিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে দোকান বন্ধ করে বাড়ি চলে যান। এ সময় সকল প্রার্থীর পোষ্টার ও ব্যানার অক্ষত ছিল। রোববার সকালে দোকানে এসে দেখেন ফরিদা ইয়াসমিনের পোষ্টার ও ব্যানার আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। গ্রামের ভেতরের বিভিন্ন রাস্তায় লাগানো পোষ্টারগুলো ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে ছিল।
দক্ষিণ চকরামপুর গ্রামের সামসুর রহমান বলেন, রোববার সকালে প্রার্থী ফরিদা ইয়াসমিনের পোষ্টার ও ব্যানার গ্রামের বিভিন্ন রাস্তায় ও মোড়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে থাকতে দেখা যায়। বেশি কিছু ব্যানার ও পোষ্টার আগুনে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। কাজটি যেই করুক অন্যায় হয়েছে।
গ্রামের আবদুস সালাম বলেন, প্রতিদ্বন্দ্বি দুই প্রার্থীর মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি করতে তৃতীয় কোন পক্ষ কাজটি করে থাকতে পারেন। কাজটি চরম অন্যায় হয়েছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
প্রার্থী ফরিদা ইয়াসমিন বলেন, ‘প্রতিহিংসা নয়, নির্বাচন হবে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ। পোষ্টার-ব্যানার ছিঁড়ে ও আগুন দিয়ে পুড়িয়ে কারও ভোটের ইমেজ নষ্ট করা যায় না। এ ঘটনার যাতে পুনরাবৃত্তি না হয় সে বিষয়ে প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করছি।’
অপর প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী সাদিয়া খাতুন টপি বলেন, ‘রাতের অন্ধকারে কাজটি কে বা কারা করেছে আমার জানা নেই। প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থীর ব্যানার ও পোষ্টার ছিঁড়ে নষ্ট করার কোন প্রশ্নই আসে না।’
দায়িত্বপ্রাপ্ত রিটার্নিং কর্মকর্তা ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সেখ শাহ আলম বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। রাতের অন্ধারের ঘটনা এটি। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।