নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা খিজির হায়াত খানের বাড়িতে হামলা, গুলি, ককটেল বিষ্ফোরণ ও ভাঙচুরের ঘটনায় মামলা হয়েছে।
রোববার (২১ নভেম্বর) বিকালে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা খিজির হায়াত খান বাদী হয়ে এই মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় ১৪জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত ১৫/২০জনকে আসামি করা হয়েছে।
কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাইফুদ্দিন আনোয়ার একজনকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, চরহাজারী ৫নং ওয়ার্ডের নূর নবীর ছেলে আবদুল কাইয়ুম (৩৩) কে গ্রেপ্তার করে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়। ওসি আরো বলেন, গ্রেপ্তারকৃত কাইয়ুম মেয়র আবদুল কাদের মির্জার একজন সমর্থক। এ ঘটনার সাথে জড়িত অপর আসামীদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
অপরদিকে, রোববার দুপুর ১টার দিকে নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা খিজির হায়াত খানের বাড়িতে হামলা, গুলি, ককটেল বিষ্ফোরণ ও ভাঙচুরের ঘটনার প্রতিবাদে উপজেলা আওয়ামী লীগ ও সহযোগি সংগঠনের ব্যানারে নোয়াখালী প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, চরএলাহী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও যুবলীগের সভাপতি আবদুর রাজ্জাক, চরকাঁকড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর রহমান আরিফ, ছাত্রলীগ নেতা জাহিদুল হক কছিসহ অনান্য নেতৃবৃন্দ।
বক্তারা, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও আওয়ামী লীগ সভাপতি খিজির হায়াত খানের বাড়িতে হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে ঘটনার সময় ধারণকৃত সিসি টিভি ফুটেজ দেখে আসামীদের শনাক্ত করে দ্রুত গ্রেপ্তার ও শাস্তির দাবি করেন।
উল্লেখ্য, শনিবার সন্ধ্যা সোয়া ৭টার দিকে কয়েকটি মোটরসাইকেল ও সিএনজি যোগে ১০-১২জনের একদল মুখোশধারী আ.লীগ সভাপতি খিজির হায়াত খানের চরকাঁকড়া ৫নং ওয়ার্ডের বাড়িতে হামলা চালায়। হামলাকারিরা সভাপতির বসত ঘর লক্ষ্য করে ককটেল নিক্ষেপ ও গুলি করে। ভাঙচুর করা হয় ঘরের দরজা ও জানালাসহ আসবাপত্র। সভাপতির অভিযোগ হামলাকারিদের লক্ষ্য ছিলো তাদের ঘরে ডুকে সবাইকে হত্যা করা। গত শনিবার জিলা স্কুল মাঠে অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগের প্রতিনিধি সম্মেলনে যাওয়া ও সভাপতি খিজির হায়াত গত কয়েকমাস ধরে বসুরহাটে ঘটে যাওয়া বিভিন্ন ঘটনা নিয়ে বক্তব্য দেওয়ার জেরে এ হামলার ঘটনা ঘটেছে।