বাগেরহাটের চিতলমারীতে ভাইরাস জনিত কারণে টমেটো গাছে মড়ক লেগেছে। এতে শত শত হেক্টর জমিতে চাষকৃত টমেটো গাছ মরে যাওয়ার উপক্রম দেখা দেওয়ায় চাষিদের মাঝে হতাশা বিরাজ করছে। এ ব্যাপারে ক্ষতিগ্রস্ত চাষিরা কৃষি অফিসের সহায়তা কামনা করেছেন।
স্থানীয় চাষিদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, উপজেলার বড়বাড়িয়া, কলাতলা, হিজলা, শিবপুর, চিতলমারী সদর, চরবানিয়ারী ও সন্তোষপুর ইউনিয়নে আবাদিÑঅনাবাদি ও চিংড়িঘেরের পাড়ের জমিতে ব্যাপক টমেটোর চাষ করা হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে শীতকালীন সবজির পাশাপাশি টমেটো চাষ করে এখানকার চাষিরা লাভবান হলেও এ বছর ভাইরাস ও পাতা মোড়ানো রোগ দেখা দেওয়ায় টমেটো ক্ষেতের গাছ মরে যাচ্ছে। বিভিন্ন ওষুধ ও সার ব্যবহার করেও থামানো যাচ্ছে না এসব রোগ-বালাই। ফলে অর্থকারী এ ফসল চাষে আগ্রহ হারাচ্ছেন চাষিরা।
উপজেলার চরবানিয়ারী দক্ষিণপাড়ার টমেটো চাষি নিত্যানন্দ ম-লের স্ত্রী আরতী ম-ল হতাশা ব্যক্ত করে জানান, চলতি মৌসুমে ৩ একর জমিতে টমেটোর আবাদ করেছেন কিন্তু ক্ষেতের গাছে গোড়া পচন ও পাতা মোড়ানো রোগ দেখা দিয়েছে। নানা ওষুধ ও সার-কীটনাশক ব্যবহার করেও কোন সুফল মেলেনি। বিভিন্ন ব্যাংক, এনজিও এবং সুদে কর্যে টাকা এনে এসব চাষাবাদ করে হশাতায় ভুগছেন। স্থানীয় কৃষি অফিস এসব রোগ-বালাই প্রতিকারের জন্য কোন খোঁজ খবর রাখেনা বলেও অভিযোগ রয়েছে তার। এ ছাড়া এলাকার টমেটো চাষি ইদু শিকদার, রেজাউল শিকদার, নরেশ বাড়ৈ, মিঠু বালাসহ অনেক চাষি জানান, এখানকার টমেটো রাজধানীসহ সারাদেশে পাইকারদের মাধ্যমে চালান হয়ে থাকে। এর মাধ্যমে চাষিরা লাভবান হলেও এ বছর ব্যাপক ভাইরাস দেখা দেওয়ায় লোকসান গুনতে হবে বলে হতাশা ব্যক্ত করেন তারা।
এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি অফিসার মোসাঃ রাজিয়া সুলতানার সাথে একাধিক বার ফোনে যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোনটি কেটে দেন তবে উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার অসিম কুমার দাসের সাথে কথা হলে তিনি জানান, এ বছর ৬শ’ ৫০ হেক্টর জমিতে টমেটোর আবাদ করা হয়েছে। টমেটো গাছে যে ভাইরাসটি দেখা দিয়েছে এটার নাম ব্যাকটেরিয়া ইউল্ড। এ রোগ সম্পর্কে উঠান বৈঠকের মাধ্যমে চাষিদের নানা পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।