যথাযোগ্য মর্যাদায় শেরপুরে মহান বিজয় দিবস ও
বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী’ উদযাপন করা হয়েছে। বিজয়ের ৫০ বছরের
সূর্যোদয়ের সাথে সাথে ৫০ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে দিবসের সুচনা হয়।
বৃহস্পতিবার ( ১৬ ডিসেম্বর ) সকাল সাড়ে ৬ টায় শেরপুর জেলা শহরের
মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিস্তম্ভে ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদদের
প্রতি পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। জেলা প্রশাসক মোঃ
মোমিনুর রশীদ, পুলিশ সুপার মোঃ হাসান নাহিদ চৌধুরী, জেলা পরিষদের প্রধান
নির্বাহী কর্মকর্তা উপ-সচিব) সাইয়েদ এজেড মোরশেদ আলী, শেরপুর জেলা আওয়ামী
লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট চন্দন কুমার পাল পিপি। এছাড়াও জেলা মুক্তি
যোদ্ধা সংসদ, পৌরসভা, জেলা আওয়ামী লীগ, বিএনপি, বিএমএ শেরপুর জেলা শাখা,
স্বাচিপ শেরপুর জেলা শাখা, শেরপুর প্রেসক্লাবসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক সামাজিক
সাংস্কৃতিক সংগঠন ও প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে
শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে শহীদ
মুক্তিযোদ্ধাদের স্মরণে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন ও সকল শহীদদের
আত্মার মাগফেরাত কামনা করে এক বিশেষ মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়।
এদিকে দুপুরে জেলা শিল্পকলা একাডেমীতে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ
মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যদের সংবর্ধনা এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ
মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা
ধারণ ও ডিজিটাল প্রযুক্তির সর্বোত্তম ব্যবহার শীর্ষক এক আলোচনা সভা
অনুষ্ঠিত হয়।বিকেলে প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক সম্বৃদ্ধ দেশ গড়ার শপথ ও সব
শেষে কনসার্টের আয়োজন করা হয়।
অপরদিকে বিজয় দিবসের কর্মসূচি মধ্যে ছিল,মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি স্টেডিয়ামে
শারিরীক কসরত ও কুচকাওয়াজ, জেলা শিশু একাডেমীর আয়োজনে চিত্রাংকন,
আবৃত্তি, রচনা ও সংগীত প্রতিযোগিতা। হাসপাতাল, জেলাখানা, এতিমখানা
উন্নতমানের খাবার পরিবেশন এবং বাদ যোহর জাতির শান্তি সমৃদ্ধি ও অগ্রগতি
কামনা করে মসজিদ, মন্দির গির্জাসহ অন্যান্য উপাসনালয়ে বিশেষ মোনাজাত ও
প্রার্থনাসহ নানা কর্মসূচির মধ্যে দিয়ে শেরপুর জেলা সদরসহ পাঁচ উপজেলায়
মহান বিজয় দিবস পালিত হয়।