জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলার ২নং পোগলদিঘা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী ও বর্তমান চেয়ারম্যান সামস উদ্দিন সামস (আনারস প্রতীক) কে হত্যা চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে। বুধবার রাতে সামস উদ্দিনের বাড়ি ঘেরাও এবং কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি করে নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর লোকজন এ চেষ্টা চালায় বলে তিনি অভিযোগ করেন। এ ঘটনায় এলাকায় আতঙ্কের সৃষ্টি হলে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে। এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার বিকালে থানায় লিখিত অভিযোগ দারের করেন বলে সামস উদ্দিন জানান।
অভিযোগ সূত্র জানায়, সামস উদ্দিন ১৯৯৭ সাল থেকে টানা চারবার পোগলদিঘা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। আগামী ২৬ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিতব্য ইউপি নির্বাচনে তিনি পুনরায় স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে আনারস প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। বুধবার রাত ৮টার দিকে একদল দুর্বৃত্ত গাছবয়ড়া গ্রামে তার নিজবাড়িতে ঘেরাও এবং হামলা চালায়।
সামস উদ্দিন অভিযোগ করেন, প্রতিপক্ষ নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আশরাফুল আলম মানিকের নির্দেশে মিজান মুন্সি, রুবেল মেম্বার, নুরুল ইসলাম, শাহানশাহ্ মোল্লাহর নেতৃত্বে বাড়ি ঘেরাও করে তাকে হত্যার চেষ্টা চালায়। এ সময় তিনি অন্যবাড়িতে আশ্রয় নিলে হামলাকারীরা সেখানেও আক্রমণ চালায়। খবর পেয়ে স্থানীয় লোকজন জড়ো হলে হামলাকারীরা কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি করে পালিয়ে যায়। তিনি আরো জানান, নৌকা প্রতীকের লোকজন কোথাও আনারস প্রতীকের পোস্টার টাঙানো ও নির্বাচনী কার্যালয় স্থাপন করতে দিচ্ছে না। কর্মী-সমর্থকদের নানাভাবে হুমকি ও মারধর করায় প্রচারণা বাধাগ্রস্থ হচ্ছে। সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে তিনি এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন এবং ভোটগ্রহণের দিন র্যাব-বিজিবি মোতায়েনের দাবী জানান।
এব্যাপারে তারাকান্দি পুলিশ তদন্তকেন্দ্রের ইনচার্জ (পরিদর্শক) আবদুল লতিফ বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এলাকায় পুলিশ টহল জোর দার করা হয়েছে। তদন্তকরে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
অভিযুক্ত নৌকা প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী আশরাফুল আলম মানিক অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, সামস উদ্দিন দলের বিদ্রোহী প্রার্থী। তার অভিযোগের সাথে আমি সম্পৃক্ত নই। উল্টো তার লোকজনই নৌকার প্রচারণাকালে বিশৃঙ্খলা করেছে বলে পাল্টা অভিযোগ করেন।
উপজেলা নির্বাচন অফিসার ও পোগলদিঘা
ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসার মাকসুদ আলম সাংবাদিকদের বলেন, ইতোপূর্বে স্বতন্ত্র প্রার্থীর একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।