বাংলাদেশের উত্তর সীমান্তে ভারতের মেঘালয়ঘেঁষা
শেরপুর জেলায় রয়েছে বিস্তৃত বনভূমি। এই বনভূমির পুরোটাই বন বিভাগের
অন্তর্ভুক্ত। সীমান্তবর্তী নালিতাবাড়ী, ঝিনাইগাতী ও শ্রীবরদী উপজেলার
গারো পাহাড়ের মধুটিলা, রাংটিয়া ও বালিজুড়ি রেঞ্জসহ জেলায় প্রায় ২০ হাজার
একর বনভূমি রয়েছে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বন বিভাগের এই বিশাল জমির শতকরা
প্রায় ২০ শতাংশই এখন দখলদারদের হাতে,।
শেরপুরে প্রতিনিয়ত দখল হচ্ছে বনের জমি। দীর্ঘ দিন ধরে বসবাসের দোহাই দিয়ে
জমি ছাড়ছেন না স্থানীয়রা। বন কর্মকর্তারা বলছেন, অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদ
করতে গেলে বাধা দেন দখলদাররা। এ দিকে উচ্চ পর্যায়ের নির্দেশে জড়িতদের
বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছেন বন সংরক্ষক।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সম্প্রতি পাহাড় কেটে তৈরি করা হচ্ছে চাষাবাদের
জমি। তৈরি হচ্ছে নতুন নতুন বাড়ি। এতে অস্তিত্ব সংকটে পড়েছে গারো পাহাড়।
প্রকাশ্যে বনের জমিতে বসবাসের কথা স্বীকার করলেও দীর্ঘদিন ধরে বসবাসের
দোহাই দিয়ে জমি ছাড়ছেন না দখলদাররা। তবে বিকল্প ব্যবস্থা করে উচ্ছেদ করলে
জায়গা ছাড়তে রাজি স্থানীয়রা। শেরপুর সীমান্তে অবৈধ দখলে থাকা বেশিরভাগ
জমিই এখন রাজনৈতিক ব্যক্তি ও নেতাদের ছত্রচ্ছায়ায় রয়েছে। যে কারণে উচ্ছেদ
করতে গেলে নানা প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি হয়। অনেক সময় হামলার শিকারও হতে হয়
কর্মকর্তাদের।
এ দিকে বন বিভাগের বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা জানান, সীমান্তের বনভূমি দেখভাল
ও রক্ষায় যে পরিমাণে জনবল থাকা প্রয়োজন, তা নেই। জনবল সংকটে নিয়মিত
উচ্ছেদ অভিযান ব্যাহত হচ্ছে। অন্য দিকে দীর্ঘ সময় দখলে থাকা স্থানীয়রা
বলছেন, অন্যত্র আবাসনের ব্যবস্থা না করে দিলে তাদের পক্ষে কোথাও যাওয়া
অসম্ভব।
সহকারী বন সংরক্ষক আবু ইউসুফ (অতিরিক্ত দায়িত্ব) বলেন, নিয়মিত দখলদারদের
বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত রয়েছে ‘ইতিমধ্যে আমরা দখলদারদের তালিকা তৈরি করে
সংশ্লিষ্ট দপ্তরে পাঠিয়েছি। এ ছাড়া আদালতে উচ্ছেদ মামলা পাঠিয়েছি।