খাগড়াছড়ির সংসদ সদস্য শরণার্থী পুর্নবাসন টাস্কফোর্স-এর চেয়ারম্যান কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা বলেছেন, যাঁদের মনে মুক্তিযুদ্ধের প্রতি, জাতির জনকের প্রতি কোন মায়া নেই; বাংলাদেশের সুখে যাঁদের গায়ে শিহরণ জাগে না, সেসব মানুষ পাকিস্তানের দোসর। তাঁদের এদেশে বসবাস করার কোন অধিকার নেই। তাঁদের এই দেশ ছেড়ে চলে যাওয়া উচিত।
জেলা আওয়ামী লীগের প্রবীন এই সভাপতি বলেন, যেই বঙ্গবন্ধু জীবনের তিনভাগের দুই এ জাতির-এ দেশের স্বাধীকারের জন্য কারাভোগ করেছেন, সেই মহান মানুষকে দেশ স্বাধীনের মাত্র সাড়ে তিন বছরের মাথায় সপরিবার-নিকটাত্মীয়সহ হত্যাকারীরা ইতিহাসের নির্মম-নিষ্ঠুর অমানুষ। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী-বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা’র নেতৃত্বে এদেশের জনগণ সেই অপশক্তিকে মোকাবিলা করে চলেছে। ১৬ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার দুপুরে খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে শিশু একাডেমি হলে জেলা প্রশাসন আয়োজিত্ব ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহিদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যদের সংবর্ধনা, আলোচনা সভা ও বিষয়ভিত্তিক প্রতিযোগিতার পুরস্কার প্রদান সভায় প্রধান অতিথি’র বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
জেলা প্রশাসক প্রতাপ চন্দ্র বিশ্বাস’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বিশেষ অতিথি’র বক্তব্য রাখেন পুলিশ সুপার মো: আবদুল আজিজ, জেলা আৗয়ামীলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি বর্ষীয়াণ মুক্তিযোদ্ধা রণ বিক্রম ত্রিপুরা এবং জেলা আওয়ামী লীগের সা: সম্পাদক ও খাগড়াছড়ি পৌর সভার মেয়র নির্মলেন্দু চৌধুরী। সভায় বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তী, বঙ্গবন্ধু’র জীবন ও কর্ম এবং ভবিষ্যতের বাংলাদেশ নিয়ে মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন, খাগড়াছড়ি সরকারি কলেজের শিক্ষক জাকির হোসেন।
সভাপতির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক প্রতাপ চন্দ্র বিশ্বাস বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ১৯৯৬ সালের ক্ষমতায় এসেই সকল বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য মাসিক সম্মানীর বন্দোবস্ত করেন। সেই ধারাবাহিকতা এখনো অব্যাহত আছে। দেশের সকল খাতে এখন অগ্রগতির প্রতিচ্ছবি দৃশ্যমান। এটি এগিয়ে নিতে হলে দক্ষ মানবসম্পদ হিশেবে নতুন প্রজন্মকে গড়ে উঠতে হবে। সভাশেষে মঞ্চে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের এবং বিজয় দিবস ২০২১ উপলক্ষে আয়োজিত বিষয়ভিত্তিক শিশু প্রতিযোগীদের বিজয় স্মারক তুলে দেয়া হয়। পরে দেড়’শ জন নানা বয়সী শিল্পী’র পরিবেশনায় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উপভোগ করেন উপস্থিত সকলে।