উত্তরাঞ্চলের মধ্যে পেঁয়াজ আবাদে খ্যাত পাবনার সুজানগরে মৌসুমী পেঁয়াজ আবাদের ধুম পড়েছে। পৌষের হাড় কাঁপানো শীতকে উপেক্ষা করে মাঠে মাঠে চলছে পেঁয়াজ আবাদ। উপজেলার বড় ও প্রান্তিক থেকে শুরু করে ক্ষুদ্্র কৃষকরা পর্যন্ত এখন পেঁয়াজ আবাদে ব্যস্ত।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, এ বছর উপজেলার ১০টি ইউনিয়নে পেঁয়াজ আবাদের লক্ষ্যমাত্র নির্ধারণ করা হয়েছে ১৬ হাজার ৭৫০হেক্টর জমিতে। চলতি পৌষ মাসের শুরু থেকে উপজেলার অধিকাংশ মাঠে পেঁয়াজ আবাদ শুরু হয়েছে। আবাদ কার্যক্রম চলবে মাঘ মাসের শেষ সপ্তাহ পর্যন্ত। উপজেলার মধুপুর গ্রামের আদর্শ কৃষক আবদুস সুবহান খান বলেন উত্তরাঞ্চলের মধ্যে সুজানগরে সবচেয়ে বেশি পেঁয়াজ আবাদ হয়। সেকারণে শুধু স্থানীয় কৃষি শ্রমিক দিয়ে ঐ পেঁয়াজ আবাদ করা সম্ভব হয়না। ফলে স্থানীয় কৃষি শ্রমিকের পাশা-পাশি রাজবাড়ি, ফরিদপুর, সিরাগঞ্জ, নাটোর, কুষ্টিয়া, টাঙ্গাইল এবং মানিকগঞ্জসহ দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে হাজার, হাজার কৃষি শ্রমিক এখানে পেঁয়াজ রোপণ করতে আসেন। সেই সঙ্গে স্থানীয় স্কুল-কলেজের ছাত্ররাও লেখা-পড়ার ফাঁকে অন্যের জমিতে পেঁয়াজ আবাদ করে প্রতিদিন ৫থেকে ৬‘শ টাকা উপার্জন করে থাকে। উপজেলার তৈলকুন্ড গ্রামের পেঁয়াজ চাষী নুরুল ইসলাম বলেন, এ উপজেলার একজন প্রান্তিক চাষীও ১০/১৫ বিঘা জমিতে পেঁয়াজ আবাদ করেন। সেকারণে এ সময় গোটা উপজেলায় নবান্ন উৎসবের মতো পেঁয়াজ আবাদ উৎসব হয়। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ রাফিউল ইসলাম বলেন পেঁয়াজ এ উপজেলার মানুষের প্রধান অর্থকরী ফসল। সেকারণে উপজেলার সর্বস্তরের কৃষক কমবেশি মৌসুমী পেঁয়াজ আবাদ করে থাকেন।