লক্ষ্মীপুরে ইটভাটা শ্রমিক মো: রবিন হোসেন এর মৃতদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। রোববার সকালে সদর উপজেলার চরমটুয়া গ্রামের একটি ধানক্ষেতে থেকে রবিনের মৃতদেহ দেখতে পান স্থানীয়রা। পরে বেঁচে আছে ভেবে তাকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
রবিন সদর উপজেলার চরমটুয়া গ্রামের হারুন চৌকিদার বাড়ির মৃত বাহার উদ্দিনের ছেলে। তিনি পেশায় ইটভাটার শ্রমিক। এরপর দুপুরে সদর হাসপাতাল থেকে শ্রমিক রবিনের মৃতদেহ পুলিশ উদ্ধার করে মর্গে প্রেরণ করেন। বিষয়টি হত্যা না আত্মহত্যা তা নিয়ে সন্ধেহ প্রকাশ করেছেন স্থানীয়রা।
তবে পুলিশ বলছেন নিহত ইটভাটার শ্রমিক রবিন মৃতদেহ ময়না তদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের রির্পোটে বলা যাবে রবিনের মৃত্যু আত্মহত্যা না হত্যা। বিষয়টি তদন্ত চলছে।
এদিকে নিহতের স্বজনরা জানায়, রবিন সদর উপজেলার চরমটুয়া এলাকার একটি ইটভাটায় কাজ করার জন্য অগ্রিম টাকা নিয়েছিল। কাজে না গিয়ে ঘোরাঘুরি করে সময় কাটান রবিন (২০)। এ কারণে রোববার সকালে বড় ভাই লিটন হোসেন তাকে বকাঝকা করে। এ পর তাদের বাড়ির পাশে একটি ধানক্ষেতে রবিনের মৃতদেহ পরে থাকতে দেখে স্থানীয়রা। পরে জীবিত ভেবে তাকে সদর হাসপাতালে নেয়া হয়। পরে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ব্যাপারে তেওয়ারীগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ওমর ফারুক ইবনে হুসাইন ভুলু বলেন,রবিনের আত্মীয় স্বজন তাকে বলেছেন রবিন তার বড় ভাইয়ের সঙ্গে অভিমান করে। পরে রবিনের মৃতদেহ তাদের বাড়ীর পাশে ধানক্ষেতে দেখতে পান স্থানীয়রা। তবে রবিনের পরিবারের সদস্যরা বিষয়টি আত্মহত্যা করেছে বলে তাকে নিশ্চিত করেছেন উল্লেখ করেন তিনি।
লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জসীম উদ্দীন বলেন,রবিনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য তার মৃতদেহ মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। তবে আত্মহত্যা না হত্যা তা ময়না তদন্তের রিপোটে জানাযাবে। বিষয়টি তদন্ত চলছে।