শীতের আগমনের সাথে সাথে শ্বাসকষ্ট, এ্যালার্জি, চর্ম রোগ সহ শীত জনিত রোগের সংক্রমণ বাড়ছে। হাসপাতাল গুলোয় রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। শীতে আবহাওয়া পরিবর্তনের ফলে সাধারণত যেসব রোগ দেখা দেয়, সেসব রোগীই তুলনামুলকভাবে হাসপাতালে আসছেন। ঠা-া, কাশি, শ্বাসকষ্টের রোগীর সংখ্যা শীতের কারণে বেড়েছে দিগুণ। কোথাও কোথাও শৈত্য প্রবাহ শুরু হওয়ায় স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হবার সাথে সাথে রোগ বালাই বাড়ছে।
করোনার প্রকোপ কমে আসলেও ঠা-াজনিত রোগের কারণে যে করোনা সংক্রমণ আবার বাড়বে না; তা বলা যায় না। প্রতি বছর উত্তরাঞ্চলে ঠা-ায় কষ্ট পায় মানুষ। বয়স্ক ও শিশুদের অবস্থা হয় খুবই কঠিন। দরিদ্র অনেকেরই শীতবস্ত্র নেই। তাদের শীত বস্ত্রের জন্য তাকিয়ে থাকতে হয় সামর্থবানদের দয়ার ওপরে। অথবা সরকারি ত্রাণ বিতরনের দিকে। এবারো তারা শীত থেকে বাঁচতে সামর্থবানদের বা সরকারি বস্ত্র বিতরণের দিকে তাকিয়ে আছেন। কিন্তু শীতকালীন নানা ধরনের রোগ তাদের আক্রমণ করে শুকনো কাশি, শ্বাস কষ্ট সহ নানা কারণে রাতের ঘুম কেড়ে নিয়ে যাচ্ছে।
সামর্থবানরা তাদের চিকিৎসা ফাইভ স্টার হাসপাতালে গ্রহণ করলেও দরিদ্রদের ভরসা সরকারি হাসপাতাল। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স না হলে বড় জোর জেলা সদর হাসপাতালে তারা যেতে পারেন। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে, বিশেষায়িত চিকিৎসা ব্যবস্থা সব সরকারি হাসপাতালে নেই। মেডিক্যাল কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয় তো সব জেলায় নেই। তাই তারা সংক্রমিত হলে রোগের সাথে যুদ্ধ করেই বাঁচতেই হয়।
প্রাকৃতিক কারণেই শীত আসবে। শীতের সাথে যুদ্ধ করে জনজীবন পাড়ি দিতে হবে। এজন্য শীত থেকে বাঁচতে যথাযথ ব্যবস্থাগ্রহণ করতে হবে। জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে শীতের যে হ্রাস-বৃদ্ধি তাও মোকাবেলা করতে হবে। সচেতনতা বাড়াতে হবে শীতার্ত রোগ সম্পর্কে। তাছাড়া প্রাচীন যে পদ্ধতি যেমন গরম চা পান, আদা খাওয়ার অভ্যাস করা যেতে পারে। ধূমপান ত্যাগ করা, মাস্ক ব্যবহার করা এবং যাতে ঠা-া না লাগে এমন ভাবে চলতে হবে।
শীতের কারণে প্রতিবছরই কিছু প্রাণহানির খবর পাওয়া যায়। আগুন তাপাতে গিয়ে সেই আগুনে পুড়ে কেউ জীবন হারান। আবার কেউ শ্বাসকষ্ট রোগ বেড়ে যাওয়ায় মরণ আলিংগত করতে বাধ্য হয়। আমরা অনাকাক্সিক্ষত কোনো মৃত্যুই কামনা করি না। শীতের সাথে যুদ্ধ করে রোগ বালাই থেকে সুরক্ষিত থেকে সবাই জীবনের গান গাক, এমনটাই আমরা চাই।