পঞ্চম ধাপের নির্বাচনে রাজশাহীর ১৯টি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ছয়টিতে জয় পেয়েছে। বাকিগুলোতে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা জয়ী হয়েছে।
বাগমারা উপজেলার ১৬ ইউনিয়ন, পুঠিয়ার দুই ও দুর্গাপুরে একটি ইউনিয়নে নির্বাচন হয়। পুঠিয়ার বানেশ্বর ইউনিয়ন পরিষদের একটি কেন্দ্রের নির্বাচন স্থগিত করা হয়েছে। তাই ওই ইউনিয়নে নির্বাচনি ফলাফল স্থগিত করা হয়েছে। রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার ১৬ ইউনিয়ন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থীরা বিজয়ী হয়েছেন পাঁচটিতে। আর স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে পাঁচটি ইউনিয়নে বিজয়ী হয়েছে বিএনপি নেতারা। এছাড়াও ছয়টিতে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী।
বাগমারায় বেসরকারিভাবে প্রাপ্ত ফলাফলে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচিত হয়েছেন নরদাশ ইউনিয়নে নির্বাচিত হয়েছেন গোলাম সারোয়ার আবুল। তিনি নৌকা প্রতীকে পেয়েছেন ৬১১৭ ভোট। তার প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র (বিদ্রোহী) আবদুর রশিদ পেয়েছেন ৪০২৫ ভোট। শ্রীপুরে জয়ী হয়েছেন নৌকার প্রার্থী মকবুল হোসেন মৃধা। তিনি পেয়েছেন ৩৪০৫। তার প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন স্বতন্ত্র (বিএনপি) আবদুস সালাম। বাসুপাড়া ইউনিয়নে নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী লুৎফর রহমান, তার প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন স্বতন্ত্র প্রার্থী আবদুল জব্বার ম-ল। গোয়ালকান্দিতে নির্বাচিত হয়েছেন নৌকা প্রার্থী আলমগীর সরকার। তিনি পেয়েছেন ৮৬২৩ ভোট। তার প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী (জামায়াত) অধ্যাপক আবদুল মজিদ পেয়েছেন ৬০৬৩ ভোট। সোনাডাঙায় নির্বাচিত হয়েছেন নৌকা প্রতীকের প্রার্থী অধ্যক্ষ আজাহারুল হক। তিনি পেয়েছেন ৩৪৫৮ ভোট। তার প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী (বিএনপি) অ্যাড. মোজাম্মেল হক পেয়েছেন ২০২০ ভোট।
অপরদিকে, আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী বিজয়ী হয়েছেন দ্বীপপুরে বিকাশ চন্দ্র ভৌমিক। তিনি ভোট পেয়েছেন ৩০৭৩। তার প্রতিদ্বন্দ্বী আবদুল হামিদ (নৌকা) পেয়েছেন ২৪৭১ ভোট। কাছারি কোয়ালিপাড়ায় জয়ী হয়েছেন মোজাম্মেল হক। তিনি পেয়েছেন ৩৫১৭ ভোট। তার প্রতিদ্বন্দ্বী আয়েন উদ্দিন (নৌকা) পেয়েছেন ২০২৭ ভোট। মাড়িয়া ইউনিয়নে নির্বাচিত হয়েছে রেজাউল হক। তার প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন নৌকার প্রার্থী আসলাম আলী। ঝিকরায় ৭৮০০ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন রফিকুল ইসলাম। তার প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন আরেক স্বতন্ত্র প্রার্থী (জামায়াত) ইব্রাহিম আলী। হামিরকুৎসায় নির্বাচিত হয়েছেন আনোয়ার হোসেন। যোগীপাড়ায় নির্বাচিত হয়েছেন মাজেদুর রহমান সোহাগ।
এছাড়াও গোবিন্দপাড়ায় নির্বাচিত হয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী (বিএনপি) হাবিবুর রহমান। তিনি পেয়েছেন ৫৩৯০ ভোট। তার প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আল মামুন প্রামাণিক। তিনি পেয়েছেন ৪০৮৬ ভোট। বড়বিহানলী ইউনিয়ন নির্বাচিত হয়েছেন মাহমুদুর রহমান মিলন স্বতন্ত্র প্রার্থী (বিএনপি) ৪৬৫৩ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন নৌকা প্রতীকের প্রার্থী রেজাউল ইসলাম। আউচপাড়ায় নির্বাচিত হয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী (বিএনপি) ডিএম শাফি, তার প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন নৌকা প্রতীকের প্রার্থী সরদার জান মোহাম্মদ। শুভডাঙ্গায় নির্বাচিত হয়েছেন মোশারফ হোসেন স্বতন্ত্র প্রার্থী (বিএনপি)। তার প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন আবদুল হাকিম। ও গণিপুরে ১২৪৬৩ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী (বিএনপি) অ্যাড. মনিরুজ্জামান রঞ্জু। তার প্রতিদ্বন্দ্বী নৌকা প্রতীকের প্রার্থী এসএম এনামুল হক পেয়েছেন ১১৮১৪ ভোট।
পুঠিয়ার বেলপুকুর ইউনিয়নে বেসরকারিভাবে ৩৮২ ভোট বেশি পেয়ে আ.লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী (ঘোড়া) বদিউজ্জামান বদি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ছিলেন আওয়ামী লীগ মনোনিত প্রার্থী (নৌকা) রাজিবুল হক। তিনি পেয়েছেন ৮ হাজার ৩৭৪ ভোট। বানেশ্বর ইউনিয়নের মোট ভোট কেন্দ্র ১১টি এর মধ্যে ১০ কেন্দ্রের ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছে। এতে স্বতন্ত্রপ্রার্থী বিএনপি নেতা আবদুর রাজ্জাক দুলাল (আনারস) দুই হাজার এক ভোটে এগিয়ে রয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী আবুল কালাম আজাদ (নৌকা) পেয়েছেন ৯ হাজার ৯৩ ভোট। অপরদিকে বানেশ্বর ইউনিয়নের একটি কেন্দ্রে আ.লীগ মনোনিত চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকরা জোরপূর্ক কেন্দ্র দখল নেয়। তারা ভোট কারচুপি শুরু করলে ওই কেন্দ্রের ভোট গ্রহণ স্থগিত করেন উপজেলা নির্বাচন অফিস। স্থগিত হওয়া ওই কেন্দ্রের মোট ভোটার সংখ্যা ২ হাজার ৮৪৪ জন।
দুর্গাপুর উপজেলার মাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলম স¤্রাট নৌকা প্রতীকে ৫ হাজার ৮৭৮ ভোট পেয়ে বেসরকারি ভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী হাসান ফারুক ইমাম সুমন আনারস প্রতীকে পেয়েছেন ৫ হাজার ২৩৬ ভোট।