বাগেরহাটের ফকিরহাট ও মূলঘর সংযোগরক্ষাকারী ভৈরব নদীর উপর অবস্থিত বেইলী ব্রীজটি ঝুকিপূর্ন হওয়ায় এর উপর দিয়ে যানবাহন ও পথচারীদের চলাচল বন্ধ করা হয়েছে। গত ১২ ডিসেম্বর বাগেরহাট সড়ক ও জনপদ বিভাগ কর্তৃপক্ষ ব্রীজের দুই প্রান্তে বেরিকেট দিয়ে বন্দ করে দেয়। এর ফলে জনদুর্ভোগ চরমে পৌছেছে।
স্থানীয়রা জানায়, মূলঘর এলাকা থেকে ফকিরহাট সদর আসতে শুধুমাত্র একটি ব্রীজের দুরত্ব, অথচ সেখানে মানুষ এক কিলোমিটার ঘুরে ফকিরহাট সদরে আসতে হচ্ছে। পাশাপাশি এই বেইলী ব্রিজ সংলগ্ন রাস্তার উভয় পাশে যেসব ব্যবসা প্রতিষ্টান আছে তাদের ব্যবসায় ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
জানা গেছে, প্রায় তিন যুগ আগে ভৈরব নদীর উপর ফকিরহাট ও মূলঘর সংযোগরক্ষাকারী বেইলী ব্রীজটি তৈরী করা হয়। মূলঘর ইউনিয়নবাসীসহ আশপাশ এলাকার হাজার হাজার মানুষ প্রতিদিন ফকিরহাট সদর বাজার, উপজেলা পরিষদ, মডেল থানা, বাগেরহাট ও খুলনা অঞ্চলসমূহে যাতায়াত করে থাকেন। বিশেষ করে ব্রীজটি এসব অঞ্চলের সঙ্গে অন্যতম ব্যবসা কেন্দ্র ফকিরহাট সদর বাজারের যোগসূত্র স্থাপন করে। যে কারণে স্টীলের ব্রীজের পরিবর্তে আরসিসি সেতু নির্মাণে জনসাধারনের র্দীঘদিনের দাবি আজও পূরন হয়নি।
সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কর্তৃক মাঝে মধ্যে সেতুটি সাময়িকভাবে মেরামত করলেও কিছুদিনের মধ্যে এটি পুনরায় ব্যবহারের অযোগ্য হয়ে পড়ে। স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলেন, সেতুটি স্টীলের পাতগুলো সিডিউল অনুযায়ী দেয়ার নিয়ম থাকলেও সঠিকভাবে দেয়া হয় না। এ ক্ষেত্রে ঠিকাদার কর্তৃপক্ষের ব্যপক দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ তুলে ধরেন। ভূক্তভোগী জনসাধারনের মাঝে বেইলী ব্রীজটি নিয়ে চরম ক্ষোভ ও হতাশা বিরাজ করছে। শুধু সেতুটির স্টীলের পাত নষ্ট হয়নি বরং কাঠামোতে মরিচা ধরেছে। এমন অবস্থার জন্য এলাকাবাসী সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অবহেলা ও উদাসীনতাকেই দায়ী করছে।
বেইলী ব্রীজটি অবিলম্বে সঠিকভাবে মেরামতের জন্য ভূক্তভোগী জনসাধারন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট জোর দাবি জানিয়েছেন।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সানজিদা বলেন, ব্রীজটি সংস্কারের বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলেছেন। ব্রীজটি অত্যান্ত ঝুকিপূর্ণ হওয়ায় যাতায়াত বন্দ করা হয়েছে। এর সংস্কারের জন্য বরাদ্ধও হয়ে গেছে। অবিলম্বে ব্রীজের কাজ শুরু হবে বলে তিনি জানান।