মারা গেলেন বিশ্বের বড় ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি হলিউডের প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ তারকা অভিনেতা অস্কার জয়ী সিডনি পোয়াটি। বৃহস্পতিবার ক্যালিফোর্নিয়ার লস অ্যাঞ্জেলেসে নিজ বাসায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। তার বয়স হয়েছিল ৯৪ বছর। সিডনির মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন বাহামার পররাষ্ট্র মন্ত্রী মিশেল। খবর বিবিসির। তিনি বহুদিন ধরে বার্ধক্যজনিত নানা সমস্যায় ভুগছিলেন বলে জানা গেছে। সিডনি পটিয়ার তার জীবনের শেষ সময়টা কাটান বাহামায়। আর সেখানেই তিনি মারা যান। যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যের সবচেয়ে বড় শহর মিয়ামিতে ১৯২৭ সালে জন্ম পোয়াটির। বেশ কয়েক মাসের প্রিম্যাচিওর হিসেবে জন্মেছিলেন তিনি। জন্মের সময় শীর্ণকায় হওয়ায় তার মা ছুটেছিলেন জ্যোতিষীর কাছে। সে দিন সিডনির মাকে দেওয়া জ্যোতিষীর আশ্বাস অবশ্য ভুল হয়নি। প্রাণে তো বেঁচেছিলেনই, খ্যাতিও অর্জন করেছিলেন অসুস্থ হয়ে জন্মানো পোয়াটির। তার বাবা ছিলেন কৃষক। তিনি প্রায়শই মিয়ামি থেকে ফ্লোরিডা এবং বাহামাসে যাতায়াত করতেন। সে জন্য সিডনির বেড়ে ওঠা বাহামাসে। ১৫ বছর বয়সে যুক্তরাষ্ট্রের মিয়ামিতে চলে আসেন তিনি। পরের বছর আসেন নিউইয়র্কে। ১৬ বছর বয়সে তিনি যোগ দেন আমেরিকান নিগ্রো থিয়েটারে। সিডনি পোয়াটিরই প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ, যিনি সেরা অভিনেতা হিসাবে অস্কার জিতেছিলেন। ১৯৬৩ সালে ‘লিলিস অব দ্য ফিল্ড’ ছবির জন্য শ্রেষ্ঠ অভিনেতা বিভাগে এই সম্মাননা পেয়েছিলেন তিনি। ১৯৫৮ সালে ‘দ্য ডিফায়েন্ট ওয়ানস’ ছবির জন্য প্রথমবার অস্কারের জন্য মনোনয়ন পেয়েছিলেন সিডনি। এ ব্যাপারেও সিডনি প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ অভিনেতা, যিনি অস্কারে মনোনয়ন পেয়েছিলেন। মনোনয়ন পাওয়ার পাঁচ বছর পর তার ঝুলিতে ধরা দেয় এই পুরস্কার।