উত্তরাঞ্চলের মধ্যে পেঁয়াজ আবাদে খ্যাত পাবনার সুজানগরের হাট-বাজারে আগাম আবাদ করা (মূলকাটা) পেঁয়াজের বাজারে ধস নেমেছে। এতে কৃষকের মাঝে হতাশা দেখা দিয়েছে।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, এ বছর উপজেলায় ১৬‘শ ৫০হেক্টর জমিতে আগাম পেঁয়াজ আবাদ করা হয়েছিল। অনুকূল আবহাওয়া আর জমিতে সঠিক সময়ে সার-বিষ দেওয়ায় ফলনও হয়েছে বেশ ভাল। তবে পেঁয়াজের বর্তমান বাজারে কৃষকেরা অত্যন্ত হতাশ। উপজেলার দুর্গাপুর গ্রামের পেঁয়াজ চাষী কামরুজ্জামান বলেন বলেন ১বিঘা জমিতে আগাম পেঁয়াজ আবাদ করতে সার, বীজ ও শ্রমিকসহ উৎপাদন খরচ হয় ৫০থেকে ৬০ হাজার টাকা। আর প্রতি বিঘা জমিতে পেঁয়াজ উৎপাদন হয় ৩৫ থেকে ৪০মণ। বর্তমানে হাট-বাজারে প্রতিমণ পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৯‘শ থেকে ১হাজার টাকা দরে। সে হিসাবে প্রতিবিঘা জমিতে উৎপাদিত পেঁয়াজের মূল্য দাঁড়াচ্ছে ৪০হাজার টাকা যা, উৎপাদন খরচের চেয়ে ২০হাজার টাকা কম। উপজেলার গোপালপুর গ্রামের কৃষক বিল্লাল হোসেন বলেন বর্তমান বাজারে পেঁয়াজ বিক্রি করে কৃষকের উৎপাদন খরচের চেয়ে বিঘাপ্রতি ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা লোকসান হচ্ছে। ফলে কৃষকের মাঝে হতাশা দেখা দিয়েছে। সুজানগর পৌর পেঁয়াজ বাজারের আড়তদার আবুল কালাম বলেন দেশের বাজারে ব্যাপকভাবে ভারতীয় পেঁয়াজ আমদানি হচ্ছে। তাছাড়া হাট-বাজারে দেশি পেঁয়াজের আমদানিও প্রচুর। সেকারণে দেশি পেঁয়াজের বাজারে ধস নেমেছে। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ রাফিউল ইসলাম বলেন এবার দেশে ব্যাপকভাবে মূলকাটা পেঁয়াজ উৎপাদন হয়েছে। তাছাড়া সরকার ভারত থেকেও পেঁয়াজ আমদানি করছে। ফলে হাট-বাজারে পেঁয়াজের দাম কমেছে।