শেরপুরের নকলায় আদর্শ বীজতলা বীজ খরচ সাশ্রয় হওয়ায় ও ধানের উৎপাদন দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। যতই দিন যাচ্ছে ততই ধান চাষিরা আদর্শ বীজতলার দিকে ঝুঁকে পড়েছেন এবং দিনদিন আগ্রহ বৃদ্ধি পাচ্ছে এ এলাকার চাষীদের। আদর্শ বীজতলা তৈরি করতে উপজেলা কৃষি বিভাগের উপসহকারীরা চাষীদের দিয়ে যাচ্ছেন নিয়মিত পরামর্শ। যার ফলে কৃষকদের আগ্রহ বৃদ্ধি পাচ্ছে। উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানাগেছে, এবার নকলা উপজেলার ৯শ৬০ হেক্টর বীজতলার মধ্যে ২শ হেক্টর জমিতে আদর্শ বীজতলা তৈরী করা হয়েছে। গতবছর যা ছিলো ৭শ৫২ হেক্টর বীজতলার মধ্যে আদর্শ বীজতলা ছিল ১শ৮০ হেক্টর। কৃষিবিদরা জানায় আদর্শ বীজতলার ওপরে কোন বাড়তি পানি জমা হতে পারে না। প্রতিটি চারা সমান ভাবে আলো, বাতাস, সার ও পানি পায়। এ বীজতলা তৈরিতে বীজ কম লাগে ও রোপণের সময় চারা সাশ্রয় হয়। এ চারা দিয়ে লাইন লোগো পদ্ধতিতে ধান রোপণ করে গত কয়েক বছর ধরে ভালো ফলনও পেয়েছিল এ এলাকার কৃষকরা। এতে বীজ খরচও কম হয়। বীজ তলায় রোগ বালাই নেই বললে চলে। জমিতে ধান রোপণে চারা কম লাগে। ধানের উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়ে চাষীরা লাভবান হচ্ছে।
উপজেলার কুর্শা ও পাইস্কা এলাকার কৃষকরা জানায়, উপজেলা কৃষি বিভাগের পরামর্শ অনুযায়ী দুই হাত চওড়া করে আদর্শ বীজতলা তৈরী করেছি। প্রতি বীজতলার চারপাশে ১ ফুট নালা রাখা হয়েছে। এতে আমরা ভাল মানের চারা তৈরি করছি। উন্নত মানের চারা দিয়ে উৎপাদনও বৃদ্ধি পাচ্ছে। উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ আবদুল ওয়াদুদ এ প্রতিনিধিকে জানান, এ পদ্ধতিতে আগাছা দমন, সার প্রয়োগ, সেচ দেওয়া, বালাই দমন সহজ হয় এবং সুস্থ্য সবল চারা উৎপাদন হয়। যার ফলে ১ শতক বীজতলার চারা দিয়ে প্রায় ২০ শতক ধানের জমি রোপণ করা যায়। এ কারণে একটি বা দু’টি চারা দিয়ে একটি গোছা তৈরি করা যায়। এলক্ষ্যে উপজেলা কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে নিয়মিত পরামর্শ দিচ্ছেন চাষীদের।