বাঙালির চিরচেনা ঐতিহ্য কাঠের লাঙল এখন প্রায় বিলুপ্তির পথে। একসময় লাঙল ছাড়া গ্রামের কৃষকদের চাষাবাদের কথা চিন্তাই করা যেত না। দেখা যেত ভোর বেলায় প্রান্তিক কৃষক তার ঘাড়ে লাঙল জোয়াল আর মই রেখে এক হাতে লাঠি আর অন্য হাতে চাষাবাদের উপযুক্ত দুই বলদের দড়ি ধরে রেখেছে। চাষাবাদ শেষ করে মাটিমাখা শরীরে ক্ষেতের আইলে গৃহবধুর নিয়ে আসা সকালের পান্তা আর কাঁচা মরিচও পিঁয়াজ দিয়ে ভাত খেয়ে নিতেন। গ্রাম মানেই ছিল ক্ষেতে খামারে কৃষকের লাঙল ও মই দিয়ে চাষাবাদের দৃশ্য। এ দৃশ্য এখন অহরহ দেখা যায়না না।
আধুনিক যুগে চাষাবাদের যান্ত্রিক উপকরণ আবিষ্কারের প্রভাবে ক্রমশ হারিয়ে যাচ্ছে লাঙল- জোয়াল, মই ও হালের বলদ।তবে প্রত্যন্ত পল্লী অঞ্চলে এখনও গরু দিয়ে হাল চাষ করার পাশাপাশি মানুষ দিয়ে হালচাষ সহ জোয়াল ঘাড়ে রেখে চাষাবাদের জমি পস্তুত করার বিরল দৃশ্য দেখা যায়। বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলার আড়ুয়াবর্নী গ্রামের কৃষক বিষ্ণুপদ সিংহের সাথে কথা হলে তিনি জানান, বোরো মৌসুমে জরুরী ভাবে জমিতে চারা রোপন করতে হবে। জমিতে মইদিতে গরু না পেয়ে দুইজন কামলা কিনে তাদের ঘাড়ে মই বসিয়েছি। বলদ ছাড়া মেশিনে মই দিলে জমি ভালো পরিপাটি হবেনা, তাই ১দিনের জন্য তিন জন কামলা দেড় হাজার টাকা দিয়ে এনেছি।