খুলনার পাইকগাছায় সরকার বিরোধী আন্দোলন জোরদার করতে দীর্ঘ ২৫বছর পর বিএনপি যুবদলের ৩৫ সদস্যের আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা দেন জেলা কমিটি। রোববার রাতে তৌহিদুজ্জামান মুকুলকে আহ্বায়ক ও মো. ইমরান হোসেনকে সদস্য সচিব করে খুলনা জেলা যুবদলের সভাপতি এসএম শামিম কবির ও সম্পাদক ইবাদুল হক রুবায়েদ এর যৌথ স্বাক্ষরে এ কমিটি প্রকাশ করেন। প্রকাশের সাথে সাথে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন উপজেলার তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা। ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে নতুন আহ্বায়ক কমিটির ১নং যুগ্মআহবায়ক মো. আবুল হোসেন জানান, তৃণমূলের মতামত না নিয়ে এ কমিটি দেয়া হয়েছে। আমি এ কমিটিকে প্রত্যাক্ষাণ করছি। সাথে সাথে এ কমিটি থেকে পদত্যাগ করছি। তিনি আরো বলেন যাকে আহবায়কের দ্বায়িত্ব দেয়া হয়েছে তার ভাই ও আত্মীয়রা আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে জড়িত। এ কমিটিতে যাদের নাম দেয়া হয়েছে তারা অধিকাংশই নতুন মুখ। তারা কখোনো যুবদলের রাজনীতি সাথে জড়িত ছিলোনা। উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক ডাক্তার আবদুল মজিদ জানান, যেহেতু জেলা কমিটি এ কমিটি দিয়েছে সেহেতু সে কমিটি মেনে নেওয়া উচিত। এখানে আবুল হোসেনকে যদি আহ্বায়ক করতো তাহলে দল আরো চাঙ্গা হতো। জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক ইবাদুল হক রুবায়েদ বলেন, যাচাই বাছাই করে কমিটি দেয়া হয়েছে। কে এই কমিটিতে থাকবে কি থাকবেনা সেটি তার ব্যক্তিগত ব্যাপার। জেলা যুবদলের সভাপতি এসএম শামিম কবির বলেন, যিনি এ কমিটি থেকে পদত্যাগ করেছেন শুনলাম তিনি উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য। তার পরেও কেন্দ্রের সুপারিশে তাকে ১নং যুগ্ম আহ্বায়ক করা হয়েছে। সে একজন ভালো কর্মী স্বীকার করে বলেন, পদত্যাগ করা না করা তার ইচ্ছার ব্যাপার। যুবদল দল কেন্দ্র কমিটির সহ সভাপতি আলী আকবর চুর্ণ বলেন, কেন্দ্র থেকে খুলনা বিভাগে ৬ সদস্য বিশিষ্ট একটি টিম করে দেন। সে টিমের আমি প্রধান। তৃণমূলে যাচাই বাছাই করে এ কমিটিকে সুপারিশ করেছি। সে সুবাদে জেলা কমিটি পাইকগাছা উপজেলা যুবদলের কমিটি প্রকাশ করেছে। সর্বশেষ ১৯৯৭ সালে সম্মেলনের মাধ্যমে মহরম আমজাদ হোসেন গোলদারকে সভাপতি শেখ বেনজির আহম্মেদকে সম্পাদ করে উপজেলা যুবদলের কমিটি গঠিত হয়। তার পর থেকে দীর্ঘ ২৫ বছর পর এ কমিটি ঘোষণা হল।