কুড়িগ্রামে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির কারণে ব্যাহত হয়েছে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। শুক্রবার ভোর থেকে বৃষ্টি শুরু হয়, থেমে থেমে মেঘের গর্জন বর্ষার আমেজ নিয়ে আসে প্রকৃতিতে। বৃষ্টির কারণে বেড়েছে শীতের প্রকোপ। এছাড়াও দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত বিদ্যূত না থাকায় সব শ্রেণিপেশার মানুষের দুর্ভোগ আরো বেড়ে যায়। সন্ধ্যায় থেমে যায় বৃষ্টি ও বাতাস।
কয়েকঘণ্টা টানা বৃষ্টির কারণে শ্রমজীবী মানুষ কাজে যেতে পারেনি। বিশেষ করে দিনমজুর, মিস্ত্রি ও নির্মাণ শ্রমিকরা ঘর থেকে বের হতে পারেনি। রাস্তাঘাটে যানবাহন ও লোক চলাচল ছিল কম। বিপাকে পড়েছে দৈনিক আয়ের উপর নির্ভরশীল রিকশা ও ভ্যান চালকসহ নি¤œ আয়ের মানুষরা।
কুড়িগ্রামের ছয়ানিপাড়া বস্তির বাসিন্দা ভবেন চন্দ্র জানান, মাঘের মাঝামাঝি বৃষ্টির কারণে রাস্তায় মিশুক রিকশা নিয়ে চলা যাচ্ছেনা। যাত্রীও নেই। পলাশবাড়ী গ্রামের দিনমজুর আকবর আলী জানান, এখন বোরো রোপনের ভরা মৌসুম চলছে। শীত উপেক্ষা করে তারা কাজ করছিলেন। কিন্তু বৃষ্টির কারণে কাজে যেতে পারেননি তার মতো অনেক দিনমজুর।
এদিকে বৃষ্টির কারণে আলু ক্ষেতে ছত্রাকের আক্রমণের শঙ্কা দেখা গিয়েছে। ইতোমধ্যে অনেক এলাকায় আলুতে লেট ব্লাইট বা ছত্রাকের আক্রমণ দেখা দিয়েছে। সদর উপজেলার শিবরাম গ্রামের কৃষক আবদুল মজিদ জানান, গত কয়েকদিনের টানা শৈত্যপ্রবাহের কারণে তার আলু ক্ষেতে মড়ক দেখা দিয়েছে। বৃষ্টির কারণে মড়ক আরো বাড়ে কীনা এই নিয়ে চিন্তিত তিনি।
কৃষি কর্মকর্তারা জানান, বৃষ্টি ও স্যাঁতস্যাঁতে আবহাওয়া আলুতে ব্লাইটের আক্রমণের জন্য উপযোগী পরিবেশ। সদর উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা জাকির হোসেন জানান, আলু চাষীদের এই বৈরী আবহাওয়া সম্পর্কে সজাগ থাকতে হবে এবং একসঙ্গে একাধিক ওষুধ স্প্রে করে ছত্রাকের আক্রমণ ঠেকাতে হবে।
এদিকে রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আনিছুর রহমান জানিয়েছেন, শুক্রবার সকাল ৯টায় সর্বনি¤œ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৩ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ ছাড়া একই সময়ে ১১ মি.মি বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।