বরিশালের বাবুগঞ্জে ঢাকা -বরিশাল মহাসড়কের রহমতপুর ব্রিজ সংলগ্ন অবৈধ স্থাপনা সরিয়ে নিতে নোটিশ দিয়েছে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর (সওজ) কর্তৃপক্ষ।
শনিবার বরিশাল সড়ক ও জনপদ বিভাগের উপ বিভাগীয় প্রকৌশলী মোঃ ফিরোজ আজম খানের স্বাক্ষরিত ওই নোটিশ দখলদারদের হাতে পৌঁছেছে। নোটিশে ঢাকা বরিশাল মহাসড়ক প্রশস্ত করণের লক্ষ্যে সড়কের পাশের অবৈধভাবে গড়ে ওঠা দোকান পাট ও স্থাপনা সরিয়ে নিতে বলা হয়েছে।
এতে যাঁরা রহমতপুর বাসস্ট্যান্ড ঘিরে জমি দখল করে স্থাপনা নির্মাণ করেছেন, তাঁদের স্বেচ্ছায় ৭ দিনের মধ্যে স্থাপনা অপসারণের জন্য বলা হয়েছে। যদি ব্যবসায়ীরা তাদের স্থাপনা সরিয়ে না নেয় তাহলে অবৈধ দখল হতে উচ্ছেদের ব্যবস্থা নেয়া হবে।
সরেজমিনে রোববার দুপুরে দেখা যায়, নোটিশ পাওয়ার পর থেকে অনেক ব্যবসায়ীদের তাদের দোকান পাট সরিয়ে নিতে দেখা গেছে। তবে স্থানীয়দের মাঝে এ নিয়ে চাপা ক্ষোভ ও কষ্ট দেখা দিয়েছে। স্থানীয় ব্যবসায়ী মোঃ দেলোয়ার হোসেন, পত্রিকার এজেন্সি মোঃ সুতলতান আহমেদ সহ বেশ কয়েকজন ব্যবসায়ীরা জানান, নোটিশ পেয়েছি তবে দোকান নিয়ে কোথায় যাবো ভেবে পাচ্ছি না। এই দোকানের আয় দিয়েই সংসারের খরচ মেটাতাম। এখন দুশ্চিন্তায় আছি। প্রায় দুই বছর যাবৎ মহামারী করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের কারণে ব্যবসায় অনেক লোকসানের সম্মুখীন হতে হয়েছে। এখন আবার দোকান-পাট ভেঙে ফেলতে হচ্ছে। এখানে প্রায় ২ শতাধিক দোকানপাট রয়েছে। সবাই এই ব্রিজ স্টেশনে ব্যবসা বাণিজ্য করে জীবিকা নির্বাহ করেন। তারা সড়ক ও জনপদ এর ঊর্ধ্বতন কতৃপক্ষ, প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছেন। যদি সড়ক ও জনপদ এর ঊর্ধ্বতন কতৃপক্ষ একটু মানবিক সময়ের বিবেচনা করলে খুবই উপকৃত হইতাম।
সরো জমিনে দেখা যায়, অনেক ব্যবসায়ীই বর্তমান সরকারের চলমান উন্নয়নমূলক কাজ ও আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থেকে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এবং দোকান পাট অন্যত্র সড়িয়ে নিয়েছেন।