গোটা বিশ্বের সঙ্গে বাংলাদেশের স্টার সিনেপ্লেক্সে মুক্তি পেয়েছে সায়েন্স ফিকশন ডিজাস্টার ঘরানার ছবি ‘মুনফল’। রোনাল্ড এমরিখ পরিচালিত বহুল প্রতীক্ষিত ছবিটি ঢাকায় স্টার সিনেপ্লেক্সের সব শাখায় প্রদর্শিত হচ্ছে। হলি বেরি, প্যাট্রিক উইলসন, জন ব্রাডলিসহ আরো অনেকে রয়েছেন এ ছবিতে। বরাবরই পৃথিবীর বিপর্যয় নিয়ে ছবির কথা বললে রোনাল্ড এমরিখের নাম সামনে চলে আসে। ‘ইনডিপেনডেন্স ডে’, ‘দ্য ডে আফটার টুমরো’, ‘২০১২’ একের পর এক সায়েন্স ফিকশন আর পৃথিবীর বিপর্যয় নিয়ে ছবি নির্মাণ করে সাফল্যের স্বাক্ষর রেখেছেন এই নির্মাতা। এবার তিনি নিয়ে এসেছেন ‘মুনফল’। ২০১৬ সালে ‘ইনডিপেনডেন্স ডে : রিসারজেন্স’-এর পর ‘মুনফল’ তৈরিতে তিনি সময় নিলেন পাঁচ বছর। বেশ কয়েক বছর ধরেই ছবিটি নিয়ে কাজ করছেন ৬৬ বছর বয়সী নির্মাতা। প্রথমে প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান ইউনিভার্সালের কাছে ছবির প্রাথমিক ধারণা বিক্রি করে দিয়েছিলেন এমরিখ। ‘মুনফল’-এর গল্পটা এ রকম- পৃথিবীর একমাত্র উপগ্রহ চাঁদ, যা লক্ষকোটি বছর ধরে নির্দিষ্ট দূরত্বে এর চারদিকে ঘুরছে। সৃষ্টির শুরুতে চাঁদ পৃথিবীর আরো কাছে ছিল। বিজ্ঞানীরা বলছেন, এখন থেকে প্রায় ৬০ কোটি বছর পর চাঁদ পৃথিবীর কক্ষপথে ঘুরবে না। চাঁদ তখন পৃথিবীর কাছে একটি দূরের তারা হয়ে থাকবে। খালি চোখে চাঁদের সৌন্দর্য আর দেখাই হয়তো যাবে না। পৃথিবী থেকে অনেক দূরের কোনো কক্ষপথে ঘুরবে। মানব সভ্যতা টিকে থাকলেও দেখবে না সূর্যগ্রহণ কিংবা জোয়ার-ভাটা। সূর্যের আলোয় বাধা দেবে না চাঁদ। পৃথিবীকে দিতে পারবে না ছায়াও। সমুদ্রের পানি বাষ্প হয়ে যাবে তত দিনে, পৃথিবী উষ্ণ হবে অনেক বেশি। শতকোটি বছর পরে, সূর্য চাঁদকে কক্ষপথ থেকে পুরোই বিচ্যুত করে দেবে। পৃথিবীর পরিণতিও হবে ভয়াবহ। পুরো বিশ্বে ঘটতে পারে আরো বড় বড় ভূমিকম্প। পরিবেশের জন্য যা বয়ে আনতে পারে মহাবিপর্যয়। এমনকি ধ্বংস হয়ে যেতে পারে পৃথিবী। বিজ্ঞানীদের এমন পূর্বাভাস রেখাপাত করেছে হলিউডের খ্যাতিমান পরিচালক রোনাল্ড এমরিখের মনে। তাই হয়তো বিষয়টিকে সেলুলয়েডের পর্দায় আনতে চেয়েছেন তিনি। সারা বিশ্বে গত ৪ ফেব্রুয়ারি মুক্তি পেয়েছে মুনফল। একই দিন বাংলাদেশেও মুক্তি পেয়েছে চলচ্চিত্রটি। ঢাকার স্টার সিনেপ্লেক্সের সব শাখায় চলচ্চিত্রটি প্রদর্শিত হচ্ছে।