নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের নবনির্বাচিত মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভী শপথ নিয়েছেন। টানা তৃতীয়বারের মতো নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের মেয়র হিসেবে শপথ নিলেন তিনি।
রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে বুধবার সকালে তাকে শপথ পড়ান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গণভবন প্রান্ত থেকে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত ছিলেন সরকারপ্রধান।
পরে নবনির্বাচিত কাউন্সিলদের শপথ বাক্য পাঠ করান স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী তাজুল ইসলাম।
প্রসঙ্গত, ১৬ জানুয়ারি নারায়ণগঞ্জ সিটি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এতে মেয়র পদে ৬৬ হাজার ৮৩৫ ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী তৈমূর আলম খন্দকারকে হারিয়ে নির্বাচিত হন আওয়ামী লীগের প্রার্থী সেলিনা হায়াৎ আইভী। নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোশেনের ১৯২টি কেন্দ্রের বেসরকারি ফলাফলে আইভী পেয়েছেন ১ লাখ ৫৯ হাজার ৩৯৭ ভোট। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী তৈমূর আলম খন্দকার পেয়েছেন ৯২ হাজার ৫৬২ ভোট। তাতে দেখা যায়, ৬৬ হাজার ৮৩৫ এগিয়ে রয়েছেন আইভী।
নির্বাচনে মেয়র পদে প্রধান দুই প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী নৌকা মার্কার সেলিনা হায়াৎ আইভী ও হাতি মার্কার স্বতন্ত্র প্রার্থী তৈমূর আলম খন্দকার কেউই বড় ধরনের কোনো অনিয়মের অভিযোগ করেননি।
এই নির্বাচনকে ‘সর্বোত্তম’ সিটি নির্বাচন হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার। আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন কার্যালয়ে তিনি বলেন, ‘গত ৫ বছরে যতগুলো সিটি করপোরেশন নির্বাচন হয়েছে, আমার বিবেচনায় প্রথম কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচন ও সর্বশেষ নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচন সর্বোত্তম।’
আইভী ও তৈমূর আলম ছাড়া মেয়র পদে অপর প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা হলেন বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের এ বি এম সিরাজুল মামুন (দেয়ালঘড়ি), ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশের মাছুম বিল্লাহ (হাতপাখা), বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির রাশেদ ফেরদৌস (হাতঘড়ি), বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের মো. জসিম উদ্দিন (বটগাছ) ও স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী কামরুল ইসলাম (ঘোড়া)। এ ছাড়া কাউন্সিলর পদে সাধারণ ওয়ার্ডে ১৪৮ ও সংরক্ষিত আসনে ৩৪ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।