রাজশাহীর কাটাখালী পৌরসভার সাময়িক বরখাস্ত হওয়া মেয়র মো. আব্বাস আলীর নামে আরও দু’টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে স্থানীয় শরিয়ত আলী ও সাইদুর রহমান বাদী হয়ে আদালতে মামলা দু’টি করেন। এখন পর্যন্ত বরখাস্তকৃত এই মেয়র আব্বাসের বিরুদ্ধে মামলার সংখ্যা দাঁড়াল পাঁচটি।
এ বিষয়ে বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট শফিকুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, মানহানির অভিযোগ এনে বরখাস্তকৃত পৌর মেয়র আব্বাস আলীর বিরুদ্ধে তারা মামলা করেছেন। মামলার অভিযোগ আমলে নিয়ে রাজশাহী চিফ মেট্রোপলিটন (সিএমএম) আমলী আদালতের বিচারক মো. মাসুদুজ্জামান তদন্তের জন্য কাটাখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) নির্দেশ দিয়েছেন। একইসঙ্গে তদন্ত শেষে দ্রুত প্রতিবেদন দাখিল করতে ওসিকে নির্দেশ দিয়েছেন।
এর আগে গত ২৪ ডিসেম্বর রাতে রাজশাহীর কাটাখালী পৌরসভার সাময়িক বরখাস্তকৃত মেয়র আব্বাস আলীর বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি ও ডিজিটাল আইনে দুটি মামলা করেন স্থানীয় হরিয়ান ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আবদুল কুদ্দুস ও কাটাখালী পৌর যুবলীগের আহ্বায়ক জনি ইসলাম জনি। ফলে এখন পর্যন্ত বরখাস্তকৃত এই মেয়র আব্বাসের বিরুদ্ধে মামলার সংখ্যা দাঁড়াল পাঁচটি।
প্রসজ্ঞত, নৌকা প্রতীকে দুইবারের নির্বাচিত রাজশাহীর কাটাখালি পৌরসভার মেয়র আব্বাস আলী সম্প্রতি একটি বৈঠকে রাজশাহী-ঢাকা মহাসড়কের পৌরসভার অংশের উন্নয়নকাজ নিয়ে কথা বলার সময় বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে কটূক্তি করেন। আর কটুক্তিকৃত দুটি অডিও ক্লিপ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এ ঘটনায় মেয়র আব্বাস আলীর বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা হয়। এরপর জেলা ও কাটাখালী পৌরসভা আওয়ামী লীগের পদ থেকে তাকে বহিস্কার করা হয়। একই সঙ্গে আওয়ামী লীগের প্রাথমিক সদস্য পদ থেকে তাকে স্থায়ীভাবে বহিস্কারের জন্য কেন্দ্রীয় কমিটিকে সুপারিশ করেন জেলা আওয়ামী লীগ। আর তখন থেকেই গ্রেপ্তার এড়াতে আত্মগোপনে থাকা অবস্থায় গত ১ ডিসেম্বর রাজধানী ঢাকার কাকরাইলে অবস্থিত হোটেল রাজমণি ঈসা খাঁ-তে অভিযান চালিয়ে রাজশাহীর কাটাখালী পৌরসভার মেয়র আব্বাস আলীকে গ্রেপ্তার করেন র্যাব সদস্যরা। এরপর তিনদিনের রিমান্ড খেটে বর্তমানে আব্বাস রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে রয়েছেন। সার্বিক ঘটনায় গত ১০ ডিসেম্বর স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় থেকে মেয়র আব্বাসকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।