শনিবার সকালে ঝিকরগাছা উপজেলায় ভূমিহীন ও গৃহহীনদের জন্য খাস জমিতে নির্মান কাজ আশ্রয়ন-২ প্রকল্পের ঘর পরিদর্শন করেছেন যশোরের জেলা প্রশাসক মো: তমিজুল ইসলাম খান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক(রাজস্ব) তুষার কুমার পাল, ঝিকরগাছার উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: মাহবুবুল হক, সহকারী কমিশনার (ভূমি) ডা. কাজী নাজিব হাসান, যশোর ডিসি অফিসের ৬ জন বিজ্ঞ এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট,উপজেলা প্রকৌশলী এবং গদখালী ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা।
এই প্রকল্পের ৩য় ফেজে নতুন ডিজাইনে নাভারনে নির্মানাধীন ৫ টি ঘরের নির্মান কাজ পরিদর্শন করেন জেলা প্রশাসক। তিনি নির্মান কাজের গুনগত মান ও খাস জমি নির্বাচন প্রক্রিয়ায় সন্তোষ প্রকাশ করেন। উপকারভোগী ভূমিহীনরা লাখ টাকার জমি ও ঘর পেয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন। এই প্রকল্পের ১ম ও ২য় ফেজে ঝিকরগাছায় ৬৬ শতক খাস জমিতে ৩৩ টি ঘর নির্মিত হয়েছে। এই প্রকল্পের ৩য় ফেজে ঝিকরগাছায় প্রায় ৩ একর খাস জমিতে মোট ১৩৩ টি ঘর নির্মান করা হবে। প্রতিটি ঘরের নতুন ডিজাইনে আর সি সি কলাম, বেস ও লিনটোন দিয়ে নির্মান করা হচ্ছে। এর নির্মান ব্যয় প্রায় ২ লক্ষ ৬০ হাজার টাকা।পর্যায়ক্রমে ঝিকরগাছার সকল ভূমিহীন ও গৃহহীনদেরকে জমি সহ এই ঘর গুলো মাননীয় প্রধানমন্ত্রী উপহার হিসেবে প্রদান করবেন। উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) এর প্রত্যক্ষ মনিটরিং এর মাধ্যমে উপজেলা প্রকৌশলীর কারিগরি নির্দেশনায় উপজেলা প্রকল্প কর্মকর্তা এই ঘর গুলোর নির্মান কাজ করছেন। জাতীয় সংসদ সদস্য,উপজেলা চেয়ারম্যান, উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও ইউনিয়ন চেয়ারম্যানদের সমন্বয়ে গঠিত কমিটি উপজেলার ভূমিহীন-গৃহহীনদের বাছাই করছেন। গদখালীর বারবাকপুর মৌজায় নির্মানাধীন ২৮ টি ঘরের কাজ পরিদর্শন করে জেলা প্রশাসক মহোদয় বিভিন্ন নির্দেশনা প্রদান করেছেন। তিনি প্রতিটি নির্মানাধীন ঘরের ডিজাইন ও স্পেসিফিকেশন অনুযায়ী নির্মান হচ্ছে কিনা তা যাচাই করেছেন। জেলা প্রশাসক মহোদয় নিয়মিত জেলার সকল উন্নয়নমূলক কর্মকা- এভাবে সরেজমিনে পরিদর্শন করে থাকেন, ফলে যশোর জেলায় সকল উন্নয়ন প্রকল্প সুষ্ঠু ভাবে বাস্তবায়িত হচ্ছে।