যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার ৪ কেন্দ্রের ৯ কলেজের এইচএসসি'র ফলাফল আশাব্যঞ্জক বলে অভিমত প্রকাশ করেছেন প্রতিষ্ঠানের প্রধানগণ। উত্তীর্ণদের অবিভাবকেরা ফলাফল নিয়ে আনন্দ এবং হতাশা ব্যক্ত করেছেন বলে জানিয়েছেন।
যশোর শিক্ষা বোর্ডের তথ্যানুযায়ী ঝিকরগাছা উপজেলার ৪ পরীক্ষা কেন্দ্রে এইচএসসি পরীক্ষায় ২ হাজার ২শ' ১৮ জন অংশগ্রহণ করেছেন। এদের মধ্য থেকে ৮০ জন অনুত্তীর্ণ হয়েছেন। ফলাফল অনুযায়ী শতকরা হিসেবে কায়েমকোলা কলেজে ১শ' ৫২ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ফেল করেছেন ৩ জন, পাসের হার ৯৮.০২। সন্মিলনী ডিগ্রি কলেজে ২শ' ৩৬ জনের মধ্যে ফেল করেছেন ৬ জন, পাসের হার ৯৭.৪৫। নতুনহাট কলেজে ৩শ' ৮৭ জনের মধ্যে ফেল করেছেন ১০ জন, পাসের হার ৯৭.৪১। ঝিকরগাছা মহিলা কলেজে ১শ' ১১ জনের মধ্যে ফেল করেছেন ৩ জন, পাসের হার ৯৭.২৯। বাঁকড়া কলেজে ৩ শ' ৩২ জনের মধ্যে ফেল করেছেন ১২ জন, পাসের হার ৯৬.৩৮। সরকারি শহিদ মসিয়ূর রহমান কলেজে ৩শ' ৩১ জনের মধ্যে ফেল করেছেন ১৩ জন, পাসের হার ৯৬.০৭। গঙ্গানন্দপুর কলেজে ৩শ' ৭৪ জনের মধ্যে ফেল করেছেন ১৫ জন, পাসের হার ৯৫.৯৮। শিমুলিয়া কলেজে ১শ' ৪৯ জনের মধ্যে ফেল করেছেন ৮ জন, পাসের হার ৯৪.৬৩ এবং রঘুনাথ নগর কলেজে ১শ' ৪৬ জনের মধ্যে ফেল করেছেন ১০ জন, পাসের হার ৯৩.১৫। সার্বিক ফলাফল নিয়ে ঝিকরগাছা মহিলা কলেজের উপাধ্যক্ষ মোঃ ইলিয়াস উদ্দীন বলেন, আশাব্যঞ্জক ফলাফল অর্জন করেছে শিক্ষার্থীরা। অন্যদিকে অবিভাবক শফিকুল ইসলাম তার সন্তানের ফলাফল নিয়ে হতাশা ব্যক্ত করে বলেছেন, আমার সন্তান করোনাকালীন পরীক্ষা পদ্ধতির কারণে কাক্সিক্ষত ফলাফল অর্জন করেনি। অন্যদিকে অবিভাবক মনিরুজ্জামান এ ফলাফলে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।