খুলনার বিভিন্ন ব্যাংক থেকে সিসি ঋণ গ্রহীতারা কোটি কোটি টাকা ঋণ নিয়ে সিসি ঋণ গ্রহীতারা ব্যাংক কর্মকর্তা কর্মচারীরা যোগসাজশে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছে। পাট গুদামে রক্ষিত পাট সিসি ঋণ গ্রহীতারা ও সংশ্লিষ্ট ব্যাংক কর্মকর্তা কর্মচারীরা যোগসাজশে চুরি করে বিক্রি করে খালি গুদাম তালা দিয়ে রেখে বছরের পর বছর তাঁদের দুর্নীতিকে আড়াল করতে গিয়ে কোটি কোটি টাকার পাট গুদামকে করেছে ধ্বংস। বর্তমানে সেই খেলাপী ঋণের রহস্য উন্মোচণের পরিবর্তে তাদের দর্বলতা ও দুর্ণীতিকে আড়াল করার কাজে ব্যস্ত। খুলনার রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংক গুলোর মধ্যে অগ্রণী, জনতা, সোনালী ও রুপালী ব্যাংক অন্যতম। যে ব্যাংকগুলো ৮০'র দশকের পর পাট ব্যাবসায়ীগণের অনেকেই ব্যাংকের চার স্তরের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সাথে যোগসাজশ করে কালো পথে পাট গুদামের পাট বিক্রিকরে দিয়ে ব্যাংকের টাকা ভাগাভাগি করে আত্মসাৎ করেছে। এর আগে দুদকের তদন্তে পাট ব্যবসায়ীদের অনেক রহস্য বেরিয়ে এসেছে। অধিকতর তদন্ত হলে আরও রহস্য বেরিয়ে আসতে পারে বলে বিজ্ঞ মহল বলছেন। সম্প্রতি জনতা ব্যাংকের ছয় কোটি ৭৫ লাখ টাকা আত্মসাৎ মামলায় ব্যাংটির সাবেক সিনিয়র অফিসার আবদুল মজিদ সিদ্দিকীকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত। গত ১৪ ফেব্রুয়ারী সোমবার দুপুরে মহানগর বিশেষ দায়রা জজ আদালতে জামিনের আবেদন করেন আবদুল মজিদ সিদ্দিকী। তবে শহিদুল ইসলাম জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আইনজীবী খন্দকার মুজিবর রহমান বলেন, ১৯৯৪ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারী ব্যাংকের অগোচরে নগরীর শিরোমনি এলাকার মেসার্স ট্রান্স ওশ্যান ফাইবার প্রসেস (বিডি) লিমিটেডকে লে-অফ ঘোষনা করে মালিকপক্ষ। এ সময় মিলের গোডাউনে ব্যাংকের ঋণ আদায়ের জন্য ৬ কোটি ৭৫ লাখ টাকার পাট মজুদ আছে বলে প্রতিবেদন দাখিল করেন জনতা ব্যাংক কর্পোরেট শাখার সিনিয়র অফিসার আবদুল মজিদ সিদ্দিকী। পরে দুদকের টিম সরেজমিনে গোডাউনে গেলে সেখানে কোনো মালামাল পাওয়া যায়নি। জানা গেছে, আসামিরা পরস্পরের যোগসাজশে ব্যাংকের সমুদয় টাকা আত্মসাৎ করেছেন। এ ঘটনায় জেলা দুদক কর্মকর্তা আবু মোঃ আরিফ সিদ্দিকী বাদী হয়ে মামলা করেন। (মামলা নং মহানগর বিশেষ ৮/২০)। মামলায় মেসার্স ট্রান্স ওশ্যান ফাইবার প্রসেস (বিডি) লিমিটেডের মহাব্যবস্থাপক (জিএম) আমিন মোল্লা গুদাম রক্ষক দিলিপ কুমার অধিকারী ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা আবদুল মজিদ সিদ্দিকীকে আসামি করা হয়। দুদকের সমন্মিত জেলা কর্যালয়ের সহকারী পরিচালক তরুন কান্তি ঘোষ তদন্ত করে ১৯৯৬ সালে চার্জশীট দেন। আইনজীবী খন্দকার মুজিবর রহমান জানান, পুরাতন এ মামলার আসামি আবদুল মজিদ সিদ্দিকীকে গত ৮ ফেব্রুয়ারী নারায়নগঞ্জ থেকে গ্রেফতার করা হয়। পরে খুলনায় আনার পর তিনি আদালতে জামিনের জন্য আবেদন করেন। বিচারক তার জামিন নামঞ্জুর করেন।