নীলফামারীর সৈয়দপুর সরকারি বিজ্ঞান কলেজে ভর্তিচ্ছুদের কাছ থেকে মানি রিসিপট ছাড়াই বাড়তি টাকা নেয়ার অভিযোগ উঠেছে। অভিভাবকরা প্রশ্ন করলেও পাচ্ছেন না কোন উত্তর। ২৪ ফেব্রুয়ারি সৈয়দপুর সরকারি বিজ্ঞান কলেজে ছিল ভর্তির শেষ দিন।ওই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটিতে রয়েছে বিজ্ঞান বিভাগের জন্য শুধুমাত্র ২৫০ আসন। এর বিপরীতে অনলাইনে আবেদনের জন্য ফরম বিক্রি হয়েছে। অভিভাবকরা জানান, সন্তানকে ভর্তি করতে এসে দেখি এখানে বাড়তি টাকা নেয়া হচ্ছে। রশিদে লেখা ৩ হাজার ১৭০ টাকা থাকলেও নেয়া হয় ৩ হাজার ৪শ টাকা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষার্থী অভিযোগ করে, আমি একই প্রতিষ্ঠানটি থেকে জিপিএ-৫সহ উত্তীর্ণ হয়েছি। আমার কাছেও বাড়তি ৫শ টাকা নেয়া হয়েছে। যা রশিদে উল্লেখ নেই। প্রশ্ন করলে প্রতিষ্ঠান থেকে বলা হয়, ৪শ টাকা ফরম বাবদ ও বাকি ১শ টাকা এসএসসি পরীক্ষার প্রশংসা পত্রের জন্য নেয়া হলো। তবে এর কোনো লিখিত রশিদ দেয়া হবে না বলে জানানো হয় প্রতিষ্ঠানটি থেকে। এভাবে বাড়তি টাকা নেয়ার অভিযোগ প্রায় সব অভিভাবকের। এ ব্যাপারে কলেজটির অধ্যক্ষ গোলাম মো. ফারুকের সঙ্গে কথা হয়। তিনি বলেন, বুঝতেই তো পারছেন, সরকারি প্রতিষ্ঠানে রশিদ ছাড়া বাড়তি টাকা নেয়ার সুযোগ নেই। অস্বীকার করি না আমরা নিচ্ছি। আমরা শিক্ষার্থীদের মাস্ক দিচ্ছি, প্রসপেক্টাস দিচ্ছি, এজন্য বাড়তি কিছু নেয়া। প্রশংসাপত্রে টাকা নেয়ার সুযোগ আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, না, এ বাবদ কোনো টাকা নেয়া হয়নি। নিজস্ব শিক্ষার্থী ছাড়াও অন্যান্য প্রতিষ্ঠান থেকে আসা শিক্ষার্থীদের কাছে অতিরিক্ত ৪শ টাকা নেয়া হয়েছে।
এ ব্যাপারে সৈয়দপুর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা রেহেনা ইয়াসমিনের সঙ্গে কথা বললে তিনি জানান, সরকারি প্রতিষ্ঠানে এ ধরনের অর্থ আদায়ের কোনো সুযোগ নেই। রশিদ ছাড়া টাকা সম্পূর্ণ অনৈতিক। বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।