বাংলা ১৩৭১ সালের ১৮ ফালগুন শুক্রবার বেলা সাড়ে বারোটায় ঠিক জুমার আজানের শুরুতেই এই ধরাতে ভূমিষ্ট হন বাগেরহাটের বর্তমান চিতলমারী উপজেলার শিবপুর গ্রামের ইউনুস আলী মুন্সীর একমাত্র কন্যা আলহাজ রহিমা বেগমের প্রথম পুত্র মঞ্জুর মোর্শেদ স্বপন। গর্ভধারিনী মায়ের মুখে হাসি ফোটান সোনার চামচ মুখে নিয়ে। ধর্মপ্রান নানা শিবপুর ব্যাপারীপাড়া জামে মসজিদে গিয়েই মহান আল্লাহ্ র দরবারে শোকরানা সহ দোয়া মাহফিলের আয়োজন করেন পবিত্র শুক্রবার এর মুসল্লীদের নিয়ে। খবর পেয়ে সীমাহীন খুশী হন ফরিদপুরে পুলিশে চাকুরীরত পিতা মরহুম আলহাজ মো: মোসলেম আলী। চিতলমারীর খড়মখালীর ঠাকুর মাষ্টার মহাশয়ের কাছে শিবপুর ব্যাপারী পাড়াস্থ সিদ্দিক মেম্বরের পাঠশালা দিয়ে তালপাতা দোয়াতকালির বর্ণমালা লেখা দিয়েই প্রিয় নানা-নানী র কাছে থেকেই শিক্ষাজীবন শুরু করেন শিশু মঞ্জুর মোর্শেদ স্বপন।পরে শিবপুর ফ্রী প্রাইমারী স্কুলে তৃতীয় শ্রেনী পাশ করে বাবার চাকুরী স্থল গোপালগঞ্জ এস এম মডেল গভ: স্কুল থেকেই প্রাইমারী ও হাইস্কুল এস এসসি শেষে করে ঢাকার সরকারি তিতুমীর কলেজে এইস এসসি, পরিশেষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অনার্স মাষ্টার্স।
রাজনৈতিক জীবনঃ গোপালগঞ্জ এ মডেল স্কুলে সপ্তম শ্রেণীতে পড়াবস্থায় সর্বপ্রথম গোপালগঞ্জ পৌর ছাত্র ইউনিয়নের সদস্যপদ প্রাপ্তির মধ্য দিয়ে শুরু হয় ছাত্ররাজনীতি। পাশাপাশি বাংলাদেশ কাব স্কাউটিং, বয় স্কাউটিং, তৎকালীন বাংলাদেশ রেডক্রস (বর্তমানে রেড ক্রিসেন্ট) এর মত আন্তর্জাতিক সমাজ সেবামূলক সংগঠন সমূহের সাথে জড়িত থেকে তিনি আন্তর্জাতিক লিডারশীপ ট্রেনিং এর উপরে একাধিকবার ওয়ার্কশপও সেমিনার সহ বিভিন্ন প্রাকৃতিক দূর্যোগে সরকারি এবং বেসরকারী ত্রান সহযোগিতা মূলক কর্মকা-ে নিজেকে সম্পৃক্ত রেখেছেন স্কুলজীবন থেকেই। এক কথায় শুধু জাতীয় রাজনীতিতেই নয় বাল্যও যৌবন কাল থেকেই ছাত্ররাজনীতির পাশাপাশি তিনি জনসেবামূলক কর্মকা-ে নিজেকে রেখেছেন সম্পৃক্ত।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্রনেতা (বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন) ৯০এর ছাত্র-গনঅভ্যুল্থানের রাজপথের লড়াকু সৈনিক ও পরবর্তীতে(১৯৯৬ থেকে ২০১০) পর্যন্ত জাসাস কেন্দ্রীয় কমিটির খুলনা বিভাগীয় সাংঠনিক সম্পাদক হিসেবে এবং পাশাপাশি বাগেরহাট জেলা বিএনপি ও ঢাকা মহানগরের বিভিন্ন সময়ের আন্দলোন সংগ্রাম করে আসছেন। বিশেষ করে (বাগেরহাট -১) চিতলমারী, মোল্লাহাট,ফকিরহাট এর সংসদ নির্বাচনের মনোনয়ন প্রত্যাশী হিসেবে বিএনপির রাজনীতিকে শক্তিশালী করে আসছেন দীর্ঘদিন যাবত।
আর্থিকও সামাজিক অর্জনঃ এই জনপদের বিভিন্ন ধর্মীয় সামাজিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকা-ে নিজেকে সম্পৃত্ত করে চলেছেন তিনি। তিনি স্কুল, কলেজ,মসজিদ,মন্দির, মাদ্রাসা,এতিমখানাসহ এলাকার উন্নয়নমূলক কর্মকা-ে ব্যাপক অবদান রেখেছেন। ফলে দলমত নির্বিশেষে বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষের কাছে তিনি ভীষন ভাবে গ্রহণ যোগ্য হয়ে উঠেছেন।
রাজনীতিতে জেল জুলুমঃ বাগেরহাট জেলা বিএনপিকে সুসংগঠিত করতে গিয়ে তিনি ৯৬ সাল থেকে এ পর্যন্ত বহুবার হামলা মামলার শিকার হয়েছেন। ভিন্নমতের রাজনীতিবিদদের রোষানলে পড়েছেন বহুবার। জেল জুলুম এর শিকার হয়েছেন। ব্যাবসা বানিজ্যেও ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। একারনে বাগেরহাটের সাধারণ জনগণের মধ্যে তিনি একটা আস্থার প্রতীক হয়ে দাঁড়িয়েছেন বলে অনেকের মন্তব্য। যে অর্জনটা এ সংসদীয় আসনের নিজ দলে অন্য কারো বেলায় একবারেই নেই বললে চলে।
বাগেরহাট বিএনপির প্রত্যাশাঃ বাগেরহাটের তৃণমুল নেতাকর্মীর আস্তার প্রতীক মঞ্জুর মোর্শেদ স্বপনের এই ত্যাগ শ্রম মেধাকে বিবেচনায় এনে বাগেরহাট জেলা বিএনপির সভাপতি হিসেবে দেখতে চান বিএনপি পাগল সাধারন নেতাকর্মী।